বার বার হেনস্থার শিকার হয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক কলেজপড়ুয়া। আবার সেই ওড়িশা। এ বার ঘটনাস্থল সুন্দরগড় জেলা। জানা গিয়েছে, ছাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর শরীরে প্রায় ৯০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ। এই নিয়ে গত ছ’মাসের মধ্যে পাঁচটি ঘটনা ঘটল ওড়িশায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, কলেজছাত্রী সুন্দরগড়ের বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে পরিবারের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করে ঘুমোতে গিয়েছিলেন তরুণী। পরিবার সূত্রে খবর, মাঝরাতে হঠাৎ তরুণীর চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় সকলের। তখন তাঁরা তরুণীকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। তাঁকে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরে তাঁদের কন্যার আচরণে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেন। কী হয়েছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তরুণী জানান, এক ব্যক্তি তাঁকে লাগাতার উত্ত্যক্ত করছেন। নানা রকম ভাবে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, খুনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল। শুক্রবার রাতে সকলে যখন ঘুমোতে চলে যান, তার কিছু পরেই তরুণীকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই প্রথম নয়, গত জুলাইয়ে বালেশ্বরে এক ছাত্রী কলেজের অধ্যাপক এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হন। ওই একই মাসে পুরীর বলাঙ্গায় এক কিশোরী গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করে। অগস্টে কেন্দ্রাপড়ায় এক কলেজছাত্রী তাঁর সহপাঠীর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হয়েছেন। ওই মাসেই এক স্কুলছাত্রীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় বড়গঢ় জেলায়।