পুরীর মন্দির। —ফাইল চিত্র।
ভক্তদের পোশাকে ‘শৃঙ্খলা’ আনার চেষ্টার পরে সাধারণ ভক্ত থেকে সেবায়েত— সবার আচরণও নিয়মের নিগড়ে বাঁধতে তৎপর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের কর্তৃপক্ষ। আগামী বছরের গোড়া থেকে পুরীর শ্রী মন্দিরে ঘুরে ঘুরে পান, গুটখা সেবনও চলবে না বলে এ বার নির্দেশ জারি করা হল। বুধবার জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্য প্রশাসক, উৎকল প্রশাসন নিযুক্ত আইএএস-কর্তা রাজনকুমার দাস এ কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে মন্দিরে পলিথিনের প্যাকেট ব্যবহার, রান্না খাবার নিয়ে ঢোকা ইত্যাদিতেও আপত্তি মন্দির কর্তৃপক্ষের।
নতুন নিয়ম খাতায়-কলমে ১ জানুয়ারি থেকে চালু হওয়ার কথা বলা হলেও মন্দির কর্তৃপক্ষ চান, এখনই মন্দির চত্বরে পান, গুটখার নেশা করা বন্ধ হোক। ইতিমধ্যে মন্দিরে দর্শনার্থীদের জন্য উপযুক্ত পোশাক পরার বিধি চালু হবে বলা হয়েছিল। শুধুমাত্র মৌখিক নির্দেশেই সেই পরিকল্পনায় ভাল সাড়া মিলেছে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি।
এমনিতে জগন্নাথের সেবায় সারা দিনে দফায় দফায় পান সেজে দেওয়ার রীতি চালু আছে। কিন্তু সেবায়েতদের মধ্যেও অনেকেরই ‘পান-দোষ’ আছে বলে জানাচ্ছিলেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি মানছেন মন্দিরের প্রতিহারী, বংশানুক্রমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরিবারের কুলপান্ডা রঘুনাথ গোছিকর। তিনি বলছেন, ‘‘গুটখা থাক না-থাক, মুখে পান নিয়ে প্রভু জগন্নাথের সেবা কাজ শোভন নয়। মন্দিরে ঢুকতে গেলে হাত, পা ধোয়ার মতোই মুখও পরিষ্কার রাখা উচিত। সাধারণ দর্শনার্থী থেকে সেবায়েত, সবার জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য।’’
এর আগে দর্শনার্থীদের ফাটা জিনস, হাফপ্যান্ট, হাতখোলা পোশাকে ‘না’ করা হয়েছিল। জগন্নাথদেবের জন্য অনেকে অন্নদান করতে চাল নিয়ে আসেন। তার থেকেও কখনও নিরাপত্তার সমস্যা দেখা যায়। মন্দিরের রীতি অনুযায়ী সেদ্ধ চাল নিয়েও অনেকে ঢোকেন। তা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না। কিন্তু মন্দিরে ব্রাহ্মণভোজনের ঝকমারি এড়ানোরই পক্ষপাতী মন্দির কর্তৃপক্ষ। তাই রান্না খাবার নিয়ে ঢুকতেও ভক্তদের বিরত থাকতে বলা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy