প্রতীকী ছবি-
বয়স মাত্র দশ বছর। তবুও বিকৃত যৌন লালসার হাত থেকে রেহাই পায়নি সে। তিন বছর ধরে দিনের পর ধর্ষিত হতে হয়েছে তাকে। হতে হয়েছে পাশের বাড়িরই এক বিবাহিত যুবকের বিকৃত কামনার শিকার। বাড়ি ফাঁকা পেলেই যখন তখন তাদের বাড়িতে হানা দিত পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ওই অভিযুক্ত। দিনের পর দিন তার ছোট্ট শরীরটার উপর চলত অকথ্য অত্যাচার। সব সময়ই তাকে গ্রাস করে থাকত ভয়। যদি এই ঘটনার কথা কাউকে বলে তাহলে তার মায়ের সঙ্গেও একই রকম দুর্ব্যবহার হবে বলে শাসানিও দেওয়া হয়েছিল। আর এতেই ঘাবড়ে যায় গিয়েছিল ওই ছোট্ট মেয়েটি। ভয়ে মুখ ফুটে এই জঘন্য ঘটনার কথা অভিভাববকেদের বলে উঠতে পারেনি কখনও।
নিখুঁত ছক কষে এগিয়েছিল ওই ধুরন্ধর ধর্ষকও। পাঁচ বছর আগে বিয়ে করে দিল্লির অশোকনগরে এসে থাকতে শুরু করে। এখানেই বাড়ি ওই বাচ্চা মেয়েটির। অভিযুক্ত ধীরে ধীরে আলাপ জমায় ওই শিশুর বাবা-মায়ের সঙ্গে। ঘনঘন যাতায়াত শুরু হয়। তাদের পরিবারের যে কোনও মন্দ সময়ে পাশে দাঁড়ানো এই মানুষটা যে তাঁদের মেয়ের এত বড় সর্বনাশ করবে, তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি তাঁরা। পরিবারের বিশ্বাস অর্জন করতে মাঝে মাঝে বিভিন্ন রকম সাহায্য করতে থাকে সে। একটা সময় ওই ছোট্ট মেয়েটির বাবা-মা অন্ধের মতো বিশ্বাস করতে শুরু করে তাকে। শিশুটির সঙ্গে খেলার অছিলায় তাঁদের বাড়িতে যাতায়াতের পরিমাণ বহু গুণ বেড়ে যায়। বাড়ি খালি থাকা সত্ত্বেও যাওয়া-আসা চলতে থাকে।
আরও পড়ুন: ৬টা ৫০০র নোট বদলাতে না পেরে গায়ে আগুন, পরিবার ক্ষতিপূরণ পেল ৫ লক্ষ
প্রথমবার যৌন লালসার শিকার হয় ওই ছোট মেয়েটি, যখন ওই ইঞ্জিনিয়ারের উপর ভরসা করে, মেয়েকে তারই সঙ্গে রেখে কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন মেয়েটির মা-বাবা। সে দিনই পাশের বাড়ির কাকুর নোংরা, বিকৃত মানসিক চেহারাটা সামনে চলে এসেছিল ওই তার। বাবা-মায়ের কাছে নালিশ করার সাহসটুকু জোগাড় করে উঠতে পারেনি। আর সেই সুযোগে দিনের পর দিন ছোট শরীরটাকে ভোগ করে গিয়েছে ওই যৌনপিপাসু। কিন্তু গত সোমবার যখন ফের ওই ইঞ্জিনিয়ার তার গায়ে হাত দেয়, তখন আর সে ভয়ে চুপসে যায়নি। সাহসে ভর করে মাকে সব কথা খুলে জানায়।
তাঁর মা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি লক্ষ্য করছিলেন যে, তাঁর মেয়ে কেমন যেন চুপচাপ হয়ে যাচ্ছে। কী হয়েছে জিজ্ঞাসা করতে, অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে পুরো ঘটনার বিবরণ দেয় তাঁর মেয়ে। এরপরেই স্থানীয় পুলিশকে গোটা ঘটনার কথা জানানো হয়। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণ এবং পস্কোর ৬ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ওই ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে। এক উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ওই মেয়েটিকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy