সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি) আজ আধার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করল। অভিযোগ এসেছে কমিটির সদস্য বিজেপি সাংসদদের কাছ থেকেও। আধারের তথ্য প্রকাশ্যে চলে আসছে বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আধার কর্তৃপক্ষ আজ জানিয়েছেন, মূল তথ্যভান্ডার থেকে ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিছু ক্ষেত্রে যেখানে নাম নথিভুক্ত হয়, সেখান থেকে এই তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে অতীতে দেখা গিয়েছে। তবে যেখানে এমন হয়েছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, কমিটির পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যে হেতু বিভিন্ন সময়ে এই তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার ঠিক মতো রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখুক আধার কতৃর্পক্ষ। জানা গিয়েছে, বিজেপি সাংসদেরাও অভিযোগ তোলেন, বহু অবৈধ বসবাসকারী বা অনুপ্রবেশকারী আধার কার্ড তৈরি করে সরকারি সাহায্য নেওয়ার পাশাপাশি পাসপোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি বানিয়ে নিচ্ছেন। এই ধরনের ভুয়ো আধার তৈরির ক্ষেত্রে যে রাজ্যগুলির নাম উঠে আসছে সেগুলি হল বিহার, কর্নাটক এবং ঝাড়খণ্ড। কিছু সাংসদ অভিযোগ করেন, অনেকেই স্থানীয় গ্রাম প্রধান বা পঞ্চায়েত প্রধানের সুপারিশ নিয়ে আধার কার্ড বানিয়ে ফেলছেন। ফলে সেই ব্যক্তি আদৌ সে দেশের বাসিন্দা কি না বা বৈধ বসবাসকারী কি না, তা যাচাইয়ের কোনও অবকাশ থাকছে না। আধার কার্ড বানানো এবং বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়ার ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ আধার কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে পিএসি। পিএসি-র সব দলের সদস্যেরাই আজ অভিযোগ তুলেছেন, বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়ার ক্ষেত্রে ত্রুটি থেকে যাওয়ার পরিণাম মারাত্মক। কারণ সরকারের বেশির ভাগ সামাজিক প্রকল্প সরাসরি আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত। তাই এ ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকলে কেন্দ্রীয় সরকারি যোজনাগুলিতে প্রকৃত গ্রাহকেরা খাদ্য, রেশন বা কাজ পাবেন না।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)