বসুন্ধরা কাণ্ডে ফের এক বার প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রী এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতেও ফের সরব হল তারা।
বসুন্ধরা রাজেকে যে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হবে না, তা শুক্রবারই বুঝিয়ে দিয়েছিল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে রাজে বিরোধী সঙ্ঘ পরিবারকে বোঝানোর দায়িত্বও নিয়েছিলেন অরুণ জেটলি, অমিত শাহের মতো দলের শীর্ষ নেতারা। দলকে পাশে পেয়ে এ দিন নীতি আয়োগের বৈঠকেও উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে বসুন্ধরাকে। আর এর পরই ফের এক বার তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছে কংগ্রেস। এবং এ বারেও ফের নিশানা করা হয়েছে সমগ্র বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নীরব থাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস মুখপাত্র অজয় কুমার বলেন, “কখনও বড় মোদী ছোট জনকে সাহায্য করছে, কখনও ছোট জন সাহায্য করছে বড় জনকে। প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের পরামর্শ রাজে-ধর্ম, ললিত-ধর্ম বা রাজ্য-ধর্ম ছেড়ে এ বার রাজধর্মে মন দিন।” প্রাক্তন আইপিএল কমিশনারকে দেশের বাইরে যেতে দিয়ে বসুন্ধরা যে দেশ বিরোধী কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
কালো টাকা নিয়েও এ দিন প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। “যে মোদী নির্বাচনের আগে কালো টাকা দেশে ফেরানো নিয়ে বড় বড় কথা বলেছেন, তিনিই এখন যাঁদের কালো টাকা আছে তাঁদের বিষয়ে নিশ্চুপ।”
তবে বসুন্ধরার পাশে এ দিনও দাঁড়িয়েছে রাজস্থানের বিজেপি নেতারা। কংগ্রেসের পেশ করা হলফনামাটির সত্যতা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে রাজ্য বিজেপির দাবি, কোনও দিন আদালতে ওই হলফনামা পেশ করা হয়নি কেন?
তবে কংগ্রেসের এ দিন প্রধানমন্ত্রীকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ দেওয়া ১৩ বছর আগের একটি ঘটনার মিল খুঁজে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। সে বার গুজরাত দাঙ্গার সময়ে তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও একই পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী।