Advertisement
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Politics

গয়ালের বিরুদ্ধে ফের সরব কংগ্রেস

পীযূষকে কেন মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। কর্ণাটক ভোটের প্রচারের মধ্যে এই প্রশ্নে অস্বস্তিতে বিজেপি।

পীযূষকে কেন মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।

পীযূষকে কেন মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:১৬
Share: Save:

ফের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়ালের বিরুদ্ধে ‘অনৈতিক ব্যবসায়িক লেনদেন’-এর অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। বিদ্যুৎমন্ত্রী থাকার সময়ে তাঁর কোম্পানির ১০ টাকা দামের শেয়ার তিনি প্রায় ১০ হাজার টাকা দামে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ। সেই শেয়ারও এমন একটি সংস্থাকে বেচা হয়েছিল, যাদের বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে যথেষ্ট ব্যবসায়িক লগ্নি রয়েছে। আরও গুরুতর অভিযোগ হল, পীযূষ এই লেনদেনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে একেবারেই কিছু জানাননি।

এরপরেও কেন তদন্ত হবে না, পীযূষকে কেন মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। কর্ণাটক ভোটের প্রচারের মধ্যে এই প্রশ্নে অস্বস্তিতে বিজেপি। কারণ পীযূষ এখন বেঙ্গালুরুতে। ভোটে বিজেপির কোষাগার সামলানোর দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। লোকসভা ভোটের সময়েও এই দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

রাহুল গাঁধী নিজেই নিশানা করেছেন মোদী-পীযূষকে। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট পীযূষ গয়াল যে বিজেপি-র কোষাধ্যক্ষ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর হয়ে সব কর্পোরেট হাউসের দরজায় উঁকি দিয়েছিলেন, তা কোনও গোপন বিষয় নয়। তা হলে আর মন্ত্রী বমাল সমেত ধরা পড়ার পরেও প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন কী করে!’’

বিজেপির পাল্টা দাবি, পুরোটাই মিথ্যে অভিযোগ। পীযূষ আইন মেনেই ব্যবসায়িক লেনদেন করেছেন। মন্ত্রী হওয়ার পরেই তিনি সমস্ত ব্যবসা বন্ধ করে দেন। নিজের লগ্নি বেচে দেন। সংস্থার ডিরেক্টরের পদ ছেড়ে দেন। কিন্তু কংগ্রেসের অভিযোগ, পীযূষ ও তাঁর স্ত্রী সীমা ‘ফ্ল্যাশনেট ইনফো সলিউশনস’ নামের সংস্থার মালিক ছিলেন।

পীযূষ ২০১৪-য় মে মাসে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে ডিরেক্টর হিসেবে পদত্যাগ করলেও গয়াল দম্পতিই ৯৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক ছিলেন। বিদ্যুৎ ও অপ্রচলিত শক্তি মন্ত্রকে চার মাস থাকার পর সেপ্টেম্বরে তিনি পিরামল এস্টেটস সংস্থাকে শেয়ার বেচে দেন। ১০ টাকা মূল্যের শেয়ার বিক্রি হয় ৯,৫৮৬ টাকা দরে। যে কোম্পানির মূল্য ছিল ১০.৯ কোটি টাকা, তা বেচে ৪৮ কোটি টাকা পায় গয়াল-পরিবার। পিরামল সংস্থার অপ্রলিত শক্তি ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক লগ্নি ছিল। ফলে গোটা লেনদেনেই দুর্নীতির গন্ধ রয়েছে।

কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সূরজেওয়ালার অভিযোগ, রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে বা ২০১৪ ও ২০১৫-তেও প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে দেওয়া মন্ত্রীর সম্পত্তির হিসেবে এর কোনও উল্লেখ নেই। রণদীপ বলেন, ‘‘মোদী বলেছিলেন, না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা। এখন দেখা যাচ্ছে, খাউঙ্গা অউর খিলাউঙ্গা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE