প্রতীকী ছবি।
প্রথমে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তার পরে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার। বিরোধী শিবিরের নেতারা কংগ্রেসকে নিশানা করার পরে এ বার কংগ্রেস তাঁদের বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’-র অভিযোগ তুলল।
মহারাষ্ট্রের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে আজ পওয়ার ও তৃণমূল নেতৃত্বের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, যে সব ব্যক্তিদের কংগ্রেস ‘পাওয়ার’ দিয়েছিল, তারাই কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। পওয়ারের পাশাপাশি, তৃণমূলের দিকেও ইঙ্গিত করছেন, তা বুঝিয়ে পাটোলে বলেন, ‘‘গোটা দেশেই এই ঘটনা দেখা গিয়েছে।’’
সনিয়া ও রাহুল গাঁধী বিজেপি-বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছেন দেখে বৃহস্পতিবারই পওয়ার বলেছিলেন, কংগ্রেসকে নিজের মনোভাব বদলাতে হবে। বুঝতে হবে, এক সময় কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী কংগ্রেসের উপস্থিতি থাকলেও এখন আর তা নেই। কংগ্রেসকে পুরনো জমিদারদের সঙ্গেও তুলনা করেন পওয়ার বলেছিলেন, কংগ্রেসের অবস্থা এখন সেই জমিদারদের মতো, যাদের এক সময় অনেক জমি ছিল। কিন্তু এখন হাভেলি মেরামতিরই অর্থ নেই! অথচ জমিদার ঘুম থেকে উঠে আশেপাশের সব জমি নিজের বলে গল্প শোনান! পাটোলের পাল্টা, “কংগ্রেস অনেক ব্যক্তির কাছে নিজের জমি দেখভাল করতে দিয়েছিল। কিন্তু তারা ওই জমি চুরি করেছেন, ডাকাতি করেছেন।” তৃণমূল, এনসিপি যে কংগ্রেস ভেঙে তৈরি হয়ে কংগ্রেসের পুরনো ভোটব্যাঙ্কেই রাজত্ব করছে, সে দিকেই ইঙ্গিত করেছেন পাটোলে।
পওয়ারের আগে মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেছিলেন, সিবিআই-ইডির ভয়ে কংগ্রেস ঘরে ঢুকে পড়েছে। রাজ্যের নেতারা তার জবাবে মুখ খুললেও কংগ্রেসের কোনও কেন্দ্রীয় নেতা মমতা-অভিষেককে পাল্টা আক্রমণ করেননি। উল্টে কংগ্রেস হাইকমান্ড প্রদেশ কংগ্রেসের প্রস্তাব নাকচ করে ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ বার পওয়ারের বিরুদ্ধেও কংগ্রেসের কোনও কেন্দ্রীয় নেতা মুখ খোলেননি। মহারাষ্ট্রের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জবাব দিলেও সরাসরি পওয়ারকে নিশানা করেননি। তাঁর বক্তব্য, “পওয়ার প্রবীণ নেতা। তাই ওঁর বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাইছি না।”
তৃণমূল, এনসিপি-র এই আচরণে এআইসিসি-র নেতারা ক্ষুব্ধ। তাঁদের বক্তব্য, তৃণমূল, এনসিপি বিরোধী জোট রাজনীতির স্বার্থে কংগ্রেসকে নিজের জমি ছেড়ে দিতে বলছে। সব দায় কংগ্রেসের? তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে নিজের কিছু আসন এনসিপি-কে ছেড়ে দিয়ে, এনসিপি মহারাষ্ট্রে তৃণমূলকে নিজের কিছু আসন ছেড়ে দিয়ে জোটধর্ম পালন করছে না কেন?
পাটোলে বলেন, “কংগ্রেসই বিজেপির বিকল্প। কংগ্রেসের শীর্ষনেতাই ২০২৪-এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy