দেশের রাজধানীতে আবার শূন্যহাতে কংগ্রেস। ২০১৫ সাল থেকে এই নিয়ে পর পর তিন বার। রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দল দিল্লিতে শুধু শূন্যের হ্যাটট্রিকই করেনি, মোট ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৭টি আসনে জামানত জব্দও হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থীদের। এমনটাই বলা হয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্টে।
এ বারের ভোটের ফলাফল বলছে, সাড়ে ৬ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পড়েছে ‘হাত’ প্রতীকে। গত বারের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ সন্দীপকে এ বার নয়াদিল্লি আসনে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছিল কংগ্রেস। জামানত হারিয়ে তৃতীয় স্থান পেয়েছেন তিনি। কালকাজি আসনে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনার বিরুদ্ধে লড়তে নেমে একই হাল প্রাক্তন আপ বিধায়ক তথা সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী অলকা লাম্বারও।
কংগ্রেসের যে তিন জন জামানত বাঁচিয়েছেন, তাঁরা হলেন— কস্তুরবা নগরের প্রার্থী অভিষেক দত্ত, নাঙ্গলোই জাট কেন্দ্রে রোহিত চৌধরি এবং বদলির দেবেন্দ্র যাদব। কস্তুরবা নগরে দ্বিতীয় হয়েছেন অভিষেক।
পিটিআইয়ের রিপোর্ট বলছে, দিল্লি ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন ৬৯৯ জন। তাঁদের মধ্যে ৫৫৫ জনেরই জামানত জব্দ হয়েছে। যা মোট প্রার্থীর ৭৯.৩৯ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী, মোট যত ভোট পড়েছে, তার এক-ষষ্ঠাংশ অর্থাৎ ছ’ভাগের এক ভাগ ভোট পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর জামানত থাকবে। একটি ভোট কম পেলেও জামানত রক্ষা হবে না। প্রার্থী হতে গেলে নির্বাচন কমিশনে টাকা গচ্ছিত (ডিপোজ়িট মানি) রাখতে হয়। বিধানসভা ভোটে সেই অঙ্ক এককালীন ১০ হাজার টাকা। জামানত গেলে সেই টাকা নির্বাচন কমিশনে জমা থাকে। তা আর প্রার্থী বা সংশ্লিষ্ট দল ফেরত পায় না।