Advertisement
০২ মে ২০২৪

মোদীর উৎসবে নেই কংগ্রেসও

শুক্রবার সংসদে মাঝরাতের জিএসটি অনুষ্ঠানে তৃণমূল যাবে না। এসপি, বিএসপি, বাম, ডিএমকে, আরজেডি ইতিমধ্যেই না আসার কথা জানিয়েছে। আজ কংগ্রেসের ঘোষণার পর প্রায় বিরোধীশূন্য হতে চলেছে জিএসটি-উৎসব। ব্যতিক্রম হতে পারেন নীতীশ কুমার, শরদ পওয়ার, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া।

কেন্দ্র জিএসটি প্রসঙ্গে দলগত রাজনীতির ঊর্ধ্বে ওঠার কথা বললেও তাতে লাভ হয়নি।— ফাইল চিত্র।

কেন্দ্র জিএসটি প্রসঙ্গে দলগত রাজনীতির ঊর্ধ্বে ওঠার কথা বললেও তাতে লাভ হয়নি।— ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রিতবেদন
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৭ ০৪:৫৬
Share: Save:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন। এ বার জিএসটি নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর ঢাক পেটানোর ‘তামাশা-মঞ্চ’ বয়কটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেসও। অনুষ্ঠানে থাকবেন না প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও।

মমতা গতকালই ঘোষণা করেছিলেন, শুক্রবার সংসদে মাঝরাতের জিএসটি অনুষ্ঠানে তৃণমূল যাবে না। এসপি, বিএসপি, বাম, ডিএমকে, আরজেডি ইতিমধ্যেই না আসার কথা জানিয়েছে। আজ কংগ্রেসের ঘোষণার পর প্রায় বিরোধীশূন্য হতে চলেছে জিএসটি-উৎসব। ব্যতিক্রম হতে পারেন নীতীশ কুমার, শরদ পওয়ার, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া।

অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এ দিনও বলেন, ‘‘জিএসটি চালু হলে সমস্যা হতে পারে, কিন্তু ঐকমত্যেই তা নিষ্পত্তি হবে। দলগত রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সব দলের আসা উচিত।’’ কংগ্রেসের মধ্যে মনমোহন, পি চিদম্বরম চেয়েছিলেন, তাঁদের উদ্যোগে শুরু হওয়া জিএসটি চালুর অনুষ্ঠানে থাকতে। কিন্তু মোদীর সঙ্গে সরাসরি টক্কর নেওয়ার লক্ষ্যে মমতার মতোই সনিয়া গাঁধীও এক চিলতে জমি ছাড়তে নারাজ।

আজ গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মারা জানান, কংগ্রেস জমানায় শিক্ষা, কাজ, তথ্যের অধিকারের মতো বড় বড় আইন হয়েছে, কিন্তু সেন্ট্রাল হলে মধ্যরাতে উৎসব হয়নি। কাল যেটি হচ্ছে, সেটি নিছক তামাশা। যে মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় দশ বছর ধরে জিএসটির বিরোধিতা করে আটকে রেখেছিলেন, তিনিই কাল ঢাক পেটাবেন! তা ছাড়া মোদী জমানায় কৃষক আত্মহত্যা, বেকারি, দলিত-সংখ্যালঘু নিগ্রহ বেড়েই চলেছে। এখন কীসের উৎসব?

বিজেপির একাংশ মানছেন, বিরোধীদের সঙ্গে নিতে না পারা প্রধানমন্ত্রীরই ব্যর্থতা। আজও মমতা বলেছেন, ‘‘আমরা পক্ষে ছিলাম। কিন্তু অনেক কিছু জোর করে পাল্টে দেওয়া হয়েছে। ওষুধ-সহ সব জিনিসে কেন্দ্রীয় সরকার কর বসিয়েছে। আমাদের বলল, অর্ডিন্যান্স পাস না করলে রাজ্যে ট্রেজারি কাজ করবে না। বন্দুক কাঁধে ফায়ার করার মতো অবস্থা!’’ যদিও কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বৃহস্পতিবার কলকাতায় বলেন, ‘‘লোকসভা এবং রাজ্যসভায় তো ওরা জিএসটি-কে সমর্থন করেছে!’’

রাষ্ট্রপতির বদলে মোদীকে দিয়ে জিএসটি চালু নিয়েও আপত্তি রয়েছে কংগ্রেসের। বৃহস্পতিবার কলকাতায় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘অর্থমন্ত্রী হিসেবে আমি সংবিধান সংশোধনী বিল এনেছিলাম। তখন করতে পারিনি। কাল প্রধানমন্ত্রী বোতাম টিপে জিএসটি চালু করলে এক দেশ, এক কর শুরু হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE