বিতর্ক রেখেই কাছাড় জেলার লক্ষ্মীপুর পুরসভা দখল করল কংগ্রেস। নতুন সভানেত্রী হয়েছেন রিমি পাল। সহ-সভাপতি পুলকজ্যোতি দাস। এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি।
১০ সদস্যের লক্ষ্মীপুর পুরসভায় বিজেপি ৫টি আসন জিতেছিল। কংগ্রেস ৪টি। অন্য আসনটি জেতেন নির্দল প্রার্থী পুলকজ্যোতিবাবু। ১৩ ফেব্রুয়ারি ফলাফল ঘোষণার পর থেকে তাঁর দিকেই ছিল সবার নজর। পুলকবাবু গত কাল বিকেল পর্যন্ত সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রাখেন। শেষে কংগ্রেসকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন। কংগ্রেস তাঁকে সহ-সভাপতি পদ ছেড়ে দেয়।
আজ ১০ জন নির্বাচিত সদস্যের সঙ্গে পদাধিকারবলে শপথ নেন কাছাড়ের সাংসদ সুস্মিতা দেব ও লক্ষ্মীপুরের বিধায়ক রাজদীপ গোয়ালা। দু’জনই কংগ্রেসের। ফলে ওই দলের পুরসভা দখল করা নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু বিতর্ক শুরু হয় পুর-সভানেত্রী ও সহ-সভাপতির মনোনয়ন ঘিরে। বিজেপির অভিযোগ, অসম পুর আইন অনুযায়ী শপথের আগের দিন ওই দু’টি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হয়। কংগ্রেস আজ সকালে মনোনয়ন পেশ করেছে। অন্য দিকে কংগ্রেসের দাবি, গত কালই তারা মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু ওই মনোনয়ন পত্রে কোনও তারিখ ছিল না। বিজেপি সেগুলি বাতিলের জন্য চাপ দিতে করেন। কিন্তু তা নাকচ করা হলে ওই দলের পুরসদস্যরা সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান। বিজেপির প্রদেশ মুখপাত্র অবধেশ সিংহ জানান, প্রশাসনকে ব্যবহার করে কংগ্রেস লক্ষ্মীপুরে তাঁদের পুরবোর্ড গড়তে দেয়নি। দর কষাকষি করে পুলকবাবুর সমর্থন আদায় করেছে। তা অনৈতিক। মনোনয়ন পত্র পেশ নিয়ে যা হয়েছে, সেটা একমাত্র কংগ্রেসের পক্ষেই করা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এ নিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছি।’’
সাংসদ সুস্মিতাদেবী বলেন, ‘‘পুলকবাবুকে নিজেদের শিবিরে নিতে না পেরেই বিজেপি নেতারা এ সব বলছেন। কংগ্রেসের মনোনয়ন পত্র কালই জমা পড়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশে বিজেপি বোর্ড গড়লেও আস্থা ভোটে তারা পরাজিত হবেন।’’
লক্ষ্মীপুরের মহকুমা শাসক টি টি দাওলাগুপো বলেন, ‘‘নিয়ম মেনেই সব হয়েছে।’’ এ দিন, দু’জোড়া মনোনয়ন পত্র জমা পড়ে। কংগ্রেসের রিমি পাল ও পুলকজ্যোতি দাসের। বিজেপির বাণীতম্বী শর্মা ও মৃণালকান্তি দাসের। বিজেপি ‘ওয়াক-আউট’ করায় ভোটাভুটির প্রয়োজন পড়েনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy