ক’দিন আগে মিছিল-মিটিং করে কংগ্রেসের টিকিটের দাবি করেছিলেন ইউনাইটেড মণিপুরি অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা জিতেন সিংহ। সেই তিনিই কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার জন্য লক্ষ্মীপুরের মণিপুরিদের অনুরোধ করলেন। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরাসরি বিদ্রোহে না করলেও ক্ষোভ ব্যক্ত করলেন লক্ষ্মীপুরের কংগ্রেস প্রার্থী তথা বর্তমান বিধায়ক রাজদীপ গোয়ালার বিরুদ্ধে। জিতেন সিংহ রাজদীপবাবুকে মণিপুরি জনগোষ্ঠীর শত্রু বলে অভিহিত করেন। দোষারোপ করেন তাঁর বাবা প্রয়াত দীনেশপ্রসাদ গোয়ালাকেও।
নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে জিতেন সিংহ জানান, ২৫ বছর আন্দোলনের পর ২০১১-র ২৭ জানুয়ারি মণিপুরি উন্নয়ন পরিষদ গঠনের দাবি সরকার মেনে নেয়। সে সময়ে দীনেশবাবু পরিষদ গঠনে বাধা সৃষ্টি করেছিলেন। দীনেশবাবুর মৃত্যুর পর ২০১৪ সালের উপনির্বাচনে জিতেনবাবু কংগ্রেসের টিকিটের দাবি করেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দলীয় নেতৃবৃন্দ বাবার মৃত্যুতে সহানুভূতি দেখিয়ে রাজদীপ গোয়ালাকে টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৬-তে তাঁকে টিকিট দেওয়া হবে বলে কংগ্রেস নেতৃত্ব কথা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন জিতেনবাবু। কিন্তু এ বার দল ফের রাজদীপকেই প্রার্থী করেছে।
জিতেন সিংহের কথায়, ‘‘রাজদীপবাবু দলীয় নেতৃবৃন্দের কাছে তাঁকে বিজেপি-ঘনিষ্ঠ বলে অসত্য অভিযোগ করেছেন। ওঁরই ষড়যন্ত্রে উন্নয়ন পরিষদের টালমাটাল অবস্থা।’’ তাই তাঁর আর্জি, হিন্দু কি মুসলমান, কোনও মণিপুরি ভোটারই যেন রাজদীপ গোয়ালাকে ভোট না দেন। তবে কাকে ভোট দেবে মণিপুরিরায সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি জিতেনবাবু। শুধু জানান, সে সিদ্ধান্ত ভোটাররাই নেবেন। উল্লেখ্য, এই আসনে মণিপুরি সম্প্রদায়ের থৈবা সিংহকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তবে কি পদ্মচিহ্নে ভোট দিতে বলছেন? উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন জিতেনবাবু। পাশে বসে নীরব থাকলেন ই মনিতম্বা সিংহ, জমির আহমদ চৌধুরী, আব্দুর রসিদ চৌধুরীও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy