সরাসরি বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর নাম না করে লোকসভায় তাঁর বিরুদ্ধে জাত তুলে মন্তব্য করে মঙ্গলবার বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর। এ বার সমাজমাধ্যমে অনুরাগের সেই বিতর্কিত বক্তৃতা সমর্থনের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সংসদে স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগে নোটিস দিল কংগ্রেস।
পঞ্জাবের জলন্ধরের কংগ্রেস সাংসদ তথা সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নী বুধবার লোকসভা সচিবালয়ের প্রধানের দফতরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস জমা দিয়েছেন। নোটিসে চন্নী লিখেছেন, ‘‘মঙ্গলবার স্পিকারের নির্দেশে সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের বক্তৃতার কিছু অংশ সভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী অনুরাগের অসম্পাদিত বক্তৃতার পুরো ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন।’’
আরও পড়ুন:
চন্নীর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর ওই পোস্ট স্পষ্টতই স্বাধিকারভঙ্গের ঘটনা। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে বাজেট অধিবেশনের প্রথমার্ধে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “আমি বুঝতে পারি না নেহরুর পরিবারের উত্তরপুরুষেরা কেন তাঁর পদবি ব্যবহার করেন না?” এর পরে তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস।
বিজেপি সাংসদ অনুরাগ মঙ্গলবার রাহুলের নাম না করে তাঁর জাতগণনার দাবি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘যার জাতের ঠিক নেই, সে এখন গণনার কথা বলছে।’’ অনুরাগের ওই মন্তব্য নিয়ে গোটা বিরোধী শিবির প্রতিবাদ জানায়। রাহুল বলেন, ‘‘এ দেশে বঞ্চিত, গরিবের জন্য যে মুখ খুলেছে, তাকে গালিগালাজ শুনতে হয়েছে। আপনারা আমায় যত অপমান করুন, আমি ক্ষমা চাইতে বলব না। কিন্তু এই সংসদে জাতগণনা পাশ করিয়ে ছাড়ব।’’
আরও পড়ুন:
অনুরাগ ব্যাখ্যা দেন, তিনি কারও নাম বলেননি। সমাজবাদী পার্টির লোকসভার নেতা অখিলেশ যাদব অনুরাগকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনি কারও জাত কী, তা নিয়ে কী ভাবে প্রশ্ন তুলতে পারেন?” এর পরে মঙ্গলবার রাতে নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডল থেকে অনুরাগের বক্তব্যের একটি ভিডিয়ো ক্লিপ পোস্ট করেন মোদী। সঙ্গে লেখেন, ‘‘আমার তরুণ এবং উদ্যমী সহকর্মী শ্রী অনুরাগ ঠাকুরের এই বক্তৃতাটি সকলের শোনা উচিত। তথ্য ও হাস্যরসের নিখুঁত মিশেলে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র নোংরা রাজনীতির মুখোশ খুলে দিয়েছেন তিনি।’’