ফোবর্সের তালিকায় পাঁচে ভারতীয় শিল্পপতি আদানি। ফাইল চিত্র।
নয়াদিল্লি, ২৫ এপ্রিল: ‘‘অচ্ছে দিন এসেছে। বিকাশও হয়েছে। তবে তা কেবল গৌতম আদানির জন্য।’’ আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি ফোর্বস পত্রিকার তালিকায় বিশ্বের পঞ্চম ধনী ব্যক্তির তকমা পাওয়ার পরে এ ভাবেই কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস নেতা মানিকম টেগোর।
ফোর্বস-এর হিসেব অনুযায়ী, শুক্রবার বাজার বন্ধ হওয়ার সময়ে আদানির বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের মূল্যের নিরিখে তাঁর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২,৩৭০ কোটি ডলারে। আমেরিকান বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি। ওই নিরিখে বাফের সম্পদের মূল্য এখন ১২,১৭০ কোটি ডলার। আদানি এখন এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিও বটে।
নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আদানির ঘনিষ্ঠতার ইতিহাস পুরনো। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই মোদীর সঙ্গে বিভিন্ন মঞ্চে দেখা যেত জাহাজ, বিদ্যুৎ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে থাকা আদানি সাম্রাজ্যের কর্ণধারকে। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারে মোদী আদানি গোষ্ঠীর দেওয়া বিমান-হেলিকপ্টার ঘুরেছেন বলে দাবি করেছিল কংগ্রেস। সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা সরাসরিই বলেন, ‘‘কোথাও আদানি লেখা হেলিকপ্টার-বিমান থাকলে বুঝতে হবে মোদী এসেছেন। এটা এখন গোটা দেশ জানে।’’ মোদীর আদানি-ঘনিষ্ঠতা নিয়ে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধীও।
২০১৯ সালে ছ’টি বিমানবন্দরকে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে (পিপিপি) চালানোর জন্য বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। ছ’টি বিমানবন্দরেরই দায়িত্ব পায় আদানি গোষ্ঠী। আবার সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বন্দর চালানোর দায়িত্বও পেয়েছে ওই গোষ্ঠী। কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে নানা ক্ষেত্রে সুবিধে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে আদানিকে।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনের মঞ্চেও দেখা গিয়েছে আদানিকে। আগামী এক দশকে পশ্চিমবঙ্গে তাঁর সংস্থা ১০ হাজার কোটি বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন আদানি। তা থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ২৫ হাজার কাজের সুযোগ তৈরি হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy