ফাইল চিত্র।
লখিমপুর খেরিতে কৃষক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে সময় চাইলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। তাঁর নেতৃত্বে সাত জনের প্রতিনিধি দল দেখা করবেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে।
ওই দলে রয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা, কে সি বেণুগোপাল, মল্লিকার্জুন খড়্গে, গুলাম নবি আজাদ, অধীর রঞ্জন চৌধুরীরা। সময় চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, তা সারা দেশের বিবেকে ধাক্কা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি যে ভাবে খোলাখুলি হুমকি দিয়েছেন, তা আরও দুঃখের। তার পরেই ওই মন্ত্রীর গাড়ির নীচে চাপা পড়েছেন কৃষকেরা।’
চিঠির বয়ান অনুযায়ী, ‘হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী কৃষকেরা প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ছেলের গাড়ির চাকার তলায় পড়ে পিষে গিয়েছেন চাষিরা। সর্বাত্মক প্রতিবাদ এবং সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও হাতেনাতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি অপরাধী অথবা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। (সম্প্রতি অবশ্য মন্ত্রীপুত্র গ্রেফতার হয়েছেন)। কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল আপনার কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্য
সময় চাইছে।’
ওই ঘটনার পরে দিন কয়েক যোগী সরকারের দিক থেকে বাধা পাওয়ার পরে বুধবার লখিমপুরে মৃত কৃষকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাহুল, প্রিয়ঙ্কা। তাঁদের যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দেন তাঁরা। কংগ্রেসের সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নী, কে সি বেণুগোপাল, রণদীপ সুরজেওয়ালারা৷ নিহত সাংবাদিক রমন কাশ্যপের আত্মীয়দের সঙ্গেও দেখা করেন তাঁরা।
উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে লখিমপুর খেরির ঘটনাকে সামনে এনে সব বিরোধী দলই রাজনৈতিক ফসল তুলতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি এসপি নেতা অখিলেশ সিংহ যাদব ও বিএসপি-র মায়াবতীও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে স্মারকলিপি দেওয়ার মাধ্যমে দিল্লি থেকেও প্রতীকী বার্তা দিতে চাইছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।
আজ কংগ্রেস যখন লখিমপুর খেরির ঘটনাকে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছে দিতে চাইছে, তখন গাঁধী পরিবারের বিজেপি সদস্য বরুণ গাঁধীর টুইট, “লখিমপুর খেরির বিষয়টিকে হিন্দু বনাম শিখের যুদ্ধে পরিণত করার চেষ্টা হচ্ছে। এটি অনৈতিক এবং মিথ্যা ভাষ্য। শুধু তা-ই নয়, যে ক্ষত মুছতে এক প্রজন্ম লেগে গিয়েছে, তাকে আবার খুঁচিয়ে তোলার বিপজ্জনক প্রবণতাও বটে। তুচ্ছ রাজনৈতিক লাভের জন্য জাতীয় ঐক্যকে নষ্ট করা যাবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy