Advertisement
০৫ মে ২০২৪

ইঞ্জিনিয়ারকে কাদা বিধায়ক-সঙ্গীদের

ক’দিন আগে মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে এক পুর আধিকারিককে ব্যাট দিয়ে পেটাতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের ছেলে আকাশকে।

ইঞ্জিনিয়ারের গায়ে কাদা ঢালছেন নীতেশ রাণের (ডান দিকে) সমর্থকেরা। ছবি: পিটিআই।

ইঞ্জিনিয়ারের গায়ে কাদা ঢালছেন নীতেশ রাণের (ডান দিকে) সমর্থকেরা। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৯ ০১:১৮
Share: Save:

এক বিজেপি নেতার পুত্রের বিরুদ্ধে দল নোটিস ধরানোর দাবির পরে আর এক বিজেপি সাংসদের ছেলের কীর্তি সামনে এল। যদিও তাঁর ছেলে এখন কংগ্রেসের বিধায়ক।

ক’দিন আগে মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে এক পুর আধিকারিককে ব্যাট দিয়ে পেটাতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের ছেলে আকাশকে। জেল খেটে বেরোনোর পর তাঁকে স্বাগত জানাতে গিয়ে সমর্থকরা শূন্যে গুলিও ছোড়েন। প্রধানমন্ত্রী কড়া মনোভাব নেওয়ার দু’দিন পরেও আজ পর্যন্ত তাঁর সে রকম কোনও শাস্তি হল না। বিজেপির একটি সূত্র দাবি করেছে, আকাশকে নোটিস পাঠিয়েছে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। যদিও আকাশের শিবিরের দাবি, এ রকম কোনও নোটিস তারা পায়নি। এর আগে প্রজ্ঞা ঠাকুরকেও নোটিস দিয়ে কোনও শাস্তি হয়নি। আকাশ কাণ্ডের জের কাটতে না কাটতেই আজ মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ রাণের ছেলে নীতেশকে দেখা গেল সঙ্গীদের দিয়ে পুরসভার এক ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ারের গায়ে কাদা ঢেলে দিতে। নারায়ণ রাণে বিজেপির সাংসদ হলেও নীতেশ কংগ্রেসের বিধায়ক। তবে দলের বিক্ষুব্ধ নেতা হিসেবেই তাঁর পরিচয়। বাবার মতো বিজেপির দিকেই তিনি পা বাড়িয়ে আছেন বলে মনে করা হয়। নীতেশকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মুম্বই-সহ গোটা মহারাষ্ট্রে গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে সেখানকার রাস্তাঘাটের অবস্থা শোচনীয়। মুম্বই-গোয়া হাইওয়েতেও অনেক জায়গায় গর্ত তৈরি হয়েছে, সেখানে জল ও কাদা জমা রয়েছে। নিত্যদিনের ভোগান্তি সইতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সেই রাস্তায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য আজ নীতেশ দলবল নিয়ে গিয়েছিলেন। ডেকে পাঠিয়েছিলেন পুরসভার ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার প্রকাশ শাদেকরকে। তিনি যেই না সেখানে পৌঁছন, নীতেশের সমর্থেকরা তাঁর গায়ে বালতি ভরে কাদা ঢেলে দেন। প্রকাশ বাধা দিতে গেলে তাঁর সঙ্গে হাতাহাতিও হয়। তাঁকে সেখানেই বেঁধে রাখার চেষ্টা হয়।

নারায়ণ রাণে সেই সময়ে দিল্লিতে সংসদে ছিলেন। ঘটনার কথা শুনে তিনি বলেন, ‘‘এমন আচরণ একেবারেই ঠিক নয়। প্রতিবাদ হতেই পারে। কিন্তু হিংসা মানতে পারি না। আমি ক্ষমা চাইছি।’’ কিন্তু ছেলে কি ক্ষমা চাইবেন? নারায়ণ বলেন, ‘‘বাবা হয়ে আমি যদি ক্ষমা চাইতে পারি, ছেলে পারবে না কেন?’’ নীতেশের বিরুদ্ধে অবশ্য এরপর এফআইআর হয়। থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণও করেন তিনি। দুই সমর্থকের সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE