খোদ সাংসদের গলা থেকে সোনার হার ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেলেন ছিনতাইকারী। প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তামিলনাড়ুর কংগ্রেস সাংসদ আর সুধার। এ নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন। রাজধানীর বুকে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই জনপ্রতিনিধি।
মায়লাদুথুরাই লোকসভার সাংসদ তাঁর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন সোমবার। তিনি জানান, সকালবেলা হাঁটতে বেরিয়ে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিলেন। কিন্তু যেখানে হাঁটছিলেন, সেটা কোনও নির্জন জায়গা নয়। দিল্লির চাণক্যপুরী। যেখানে একের পর এক বড় বড় সরকারি অফিস এবং প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সর্বদা কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে থাকা একটি এলাকা বলে যা পরিচিত। কংগ্রেস সাংসদের কথায়, ‘‘যদি বলি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ঘটনা, তা-ও বোধহয় ঠিক বলা হল না। একজন মহিলা যদি রাজধানীর এমন কড়া নজরদারি থাকা এলাকাতেও নিরাপদে চলাফেরা করতে না-পারেন, তা হলে কী বলার থাকে! আমার মতো মহিলারা কী ভাবে ভয়ডরহীন ভাবে চলাফেরা করতে পারব? কোথায় আমাদের নিরাপত্তা?’’ তিনি জানান, এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও চিঠি লিখেছেন।
ওই কংগ্রেস সাংসদ জানিয়েছেন, সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে তিনি প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডিএমকের এক সাংসদ। রাস্তায় উল্টো দিক থেকে একটি বাইক আসছিল। বাইকচালকের মাথায় হেলমেট ছিল। পোল্যান্ড দূতাবাসের ঠিক সামনে তাঁর গলার হার ধরে টানাহ্যাঁচড়া করেন ওই বাইকচালক। সোনার হারটি ছিঁড়ে যায়। সেটি নিয়ে বাইকের গতি বাড়িয়ে পালিয়ে যান ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন:
ছিনতাইকারী জোরে টানাহ্যাঁচড়া করায় গলায় দাগ বসে গিয়েছে সুধার। তিনি বলেন, ‘‘ঘাড়ে খুব লেগেছে। আমার পরনের চুড়িদার নোংরা হয়ে গিয়েছিল।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমি অত্যন্ত আতঙ্কিত। এটা ‘ক্রিমিনাল অ্যাটাক।’’’ ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি লিখে অপরাধীকে ধরার দাবি করেছেন।