আদানি কাণ্ডের তদন্তে আরও ছ’মাস সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। কংগ্রেসের বক্তব্য, এর ফলে ধারণা তৈরি হতে পারে যে, ওই তদন্ত যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে করা হচ্ছে না। বরং অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আজও গৌতম আদানির গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যৌথ সংসদীয় কমিটিকে দিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছে বিরোধী দলটি।
গত জানুয়ারিতে আমেরিকার শেয়ার বাজার বিশ্লেষক সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ এক রিপোর্টে দাবি করে, হিসাবের খাতায় গরমিল করে এবং বেআইনি ভাবে গত এক দশক ধরে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে চলেছে আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলি। এই রিপোর্টের পরেই সংস্থাগুলির শেয়ারে ধস নামে। গোটা বিষয়টি নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। তুলেছে যৌথ সংসদীয় কমিটিকে দিয়ে তদন্তের দাবি। যদিও এখনও পর্যন্ত তা মঞ্জুর হয়নি। তবে গত ২ মার্চ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এম সাপ্রের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে সেবিকে তদন্ত করতে বলে শীর্ষ আদালত। দেখতে বলে শেয়ারের দাম বাড়ানো এবং নিয়ন্ত্রণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের দিকগুলি। রিপোর্ট দাখিলের জন্য সময় দেয় দু’মাস। আগামিকাল সেই সময়সীমা শেষ হওয়া হচ্ছে। তবে তার আগেই তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আরও ছ’মাস সময় চেয়েছে সেবি। আজ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (যোগাযোগ) জয়রাম রমেশের বক্তব্য, আদানি কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত প্রয়োজন। তবে গুরুতর অভিযোগের গভীরে পৌঁছতে সেবির মাধ্যমেও দ্রুত তদন্তের প্রয়োজন আছে। রমেশ বলেন, ‘‘আদানি মহাকেলেঙ্কারিত সেবি বেশ কিছু অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে যেগুলির তদন্ত প্রয়োজন। আমাদের আর্জি, এই তদন্তের যুক্তিযুক্ত নিষ্পত্তি হোক। কিন্তু অতিরিক্ত সময় ধরে তদন্তের ফলে ধারণা তৈরি হতে পারে যে, তদন্তের কাজ যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে করা হচ্ছে না। বরং ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’’
গত শনিবার শীর্ষ আদালতকে সেবি জানিয়েছিল, প্রাথমিক তদন্তে যে সমস্ত জায়গায় অনিয়মের খোঁজ মিলেছে সেগুলি খতিয়ে দেখতে আরও সময় লাগবে। যেখানে অনিয়মের খোঁজ মেলেনি সেগুলিও আরও খতিয়ে দেখতে হবে। তার জন্য যথেষ্ট সময় দরকার।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)