—প্রতীকী চিত্র।
শ্লথ অর্থনীতির প্রতিবাদে গোটা দেশজুড়ে আজ থেকে দশ দিন পথে নামবে কংগ্রেস। নেতৃত্ব দেবেন মনমোহন সিংহ, সনিয়া গাঁধী। গত মাসে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই স্থির হয়েছিল। কিন্তু আপাতত তা স্থগিত।
কারণ? দুই রাজ্যে ভোট। ব্যস্ত নেতারা। এটি ঠিক, দশ দিনের কর্মসূচির সিদ্ধান্ত যখন নেওয়া হয়, সে সময় ভোট ঘোযণা হয়নি। কিন্তু ঠিক এই সময়ে ভোট যে হবে, তা কি অজানা ছিল কংগ্রেসের নেতাদের? সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে সেই বৈঠকে ছিলেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। ছিলেন এআইসিসির পদাধিকারীও। কারও মাথায় এল না ভোটের কথা? এআইসিসি নেতারা বলছেন, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রে ভোট মিটলে নভেম্বরের প্রথম থেকেই এই কর্মসূচি ফের শুরুর কথা ভাবা হয়েছে। কিন্তু দলের নেতারাই ঘরোয়া স্তরে বলছেন, ‘‘এখন এ সব নিয়ে কারও খুব মাথাব্যথা নেই। যদি দুই রাজ্যে কংগ্রেস জিততে না পারে, তা হলে কোন মুখে ভোটের পর নতুন করে আন্দোলন করার উৎসাহ পাবেন নেতা-কর্মীরা? প্রতি রাজ্যেই নেতায়-নেতায় লড়াই চলছে। প্রকাশ্যে বেরিয়ে পড়ছে কোন্দল। রাহুল গাঁধীর সভাতেও হাজির থাকছেন না গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা যাচ্ছেন না রাহুলের সভায়, নিজের সভায় রাহুলের ছবিও রাখছেন না। মুম্বইয়ে রাহুলের সভাতে থাকছেন না সঞ্জয় নিরুপম, মিলিন্দ দেওরা। এই দলের থেকে কী প্রত্যাশা করা যায়?’’
কংগ্রেসের অনেকেই মনে করছেন, রাহুল সভাপতি হওয়ার সময় সংগঠনের আমূল বদলের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু প্রবীণদের চালে পারেননি। হাল ছেড়ে ইস্তফা দিয়েছেন। সনিয়ার আমলে এখন প্রবীণদের ফের পোয়াবারো। ফলে সংগঠন সেই তিমিরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy