পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মণিপুরের চুরাচান্দপুর থেকে থেকে ইম্ফলে পৌঁছে সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সভা থেকেও হিংসা ভুলে শান্তিরক্ষার আহ্বান জানালেন তিনি। তবে ইম্ফলের কাংলা দুর্গের মাঠে, মোদীর সভাস্থলের কাছেই বিক্ষোভ দেখালেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। বিক্ষোভ শুরু হতেই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের কাছের কংগ্রেস দফতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
শনিবার সকালেই মোদীর মণিপুর সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “নরেন্দ্র মোদীজি, তিন ঘণ্টার জন্য আপনার মণিপুরে যাওয়া সমবেদনা জানাতে নয়। এটা প্রহসন, দেখনদারি আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের অপমান করা ছাড়া আর কিছুই নয়। চুরাচান্দপুর আর ইম্ফলে আজ আপনার তথাকথিত ‘রোড শো’ আসলে আশ্রয়শিবিরে থাকা মানুশগুলোর কান্না না-শুনে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা।” এর আগে মোদীর শেষ মণিপুর সফর নিয়েও প্রশ্ন তোলেন খড়্গে। তিনি বলেন, “আপনি (মোদী) শেষ কবে মণিপুর গিয়েছেন? ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে। সেটাও নির্বাচনের জন্য। আপনার ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার মণিপুরের নিরীহ মানুষদের উপর ‘বুলডোজ়ার’ চালিয়েছে।” খড়্গে প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দেগে অভিযোগ করেন যে, মণিপুরে এখনও হিংসার ঘটনা ঘটছে। অথচ সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ব্যর্থ হয়েছেন হয়েছেন বলে তোপ দাগেন খড়্গে। ‘তাঁর অনেক আগেই যাওয়া উচিত ছিল’ বলে মোদীর মণিপুর সফরকে কটাক্ষ করেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও।
আরও পড়ুন:
মোদী অবশ্য চুরাচান্দপুরের পর ইম্ফলেও শান্তিপ্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়েছেন। ইম্ফলেও আশ্রয়শিবিরে গিয়ে ঘরছাড়াদের একাংশের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানত কুকি-জো অধ্যুষিত মণিপুরের পাহাড়ি এলাকা এবং মেইতেই অধ্যুষিত উপত্যকার মধ্যে সেতুবন্ধনের ডাক দেন তিনি। ইম্ফলে মোট ১২০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে মণিপুরের মানুষদের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন। সে রাজ্যে হিংসার ঘটনাকে ‘অনভিপ্রেত’ বলে দাবি করেন মোদী। তিনি বলেন, “ভারত সরকার চায় আলোচনা, শ্রদ্ধা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে শান্তিপ্রতিষ্ঠা হোক। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ শান্তির পথে আসুন। আমি আপনাদের সঙ্গে রয়েছি। ভারত সরকার মণিপুরের মানুষের সঙ্গে রয়েছে।