সম্ভাবনায় সিলমোহর দিয়ে মণিপুর কংগ্রেসের সভাপতি কে মেঘচন্দ্র সিংহ সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করে দিলেন, এন বীরেন সিংহ সরকারের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অনাস্থা আনতে চলেছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, এআইসিসি সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে ট্যাগ করা ওই পোস্টে মেঘচন্দ্র লিখলেন, “বিজেপির ডাবল ইঞ্জিনের একটিতে আঘাত হানতে তৈরি ব্রহ্মাস্ত্র!”
কিন্তু হাতে মাত্র পাঁচ বিধায়ক নিয়ে একা কংগ্রেসের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ হওয়ার ক্ষমতা নেই। রাজনীতিকদের মতে, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা বিধানসভা অধিবেশনে বিজেপির বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিধায়কদেরও অনাস্থায় সামিল হওয়ার সম্ভাবনা চোদ্দ আনা। বুধবার অমিত শাহের তলবে দিল্লি যান বীরেন। হাজির ছিলেন বিজেপির বীরেন-বিরোধী শিবিরের দুই মাথা মন্ত্রী ওয়াই খেমচাঁদ ও বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী টি রাধেশ্যাম। বীরেন শিবিরের সাত বিধায়ক, এনপিএফের বিধায়কেরা এবং রাজ্যপালও দিল্লিতে ছিলেন। সূত্রের খবর, উত্তর-পূর্বের ভারপ্রাপ্ত সম্বিত পাত্র বিধানসভায় অনাস্থায় সামিল না হওয়ার অনুরোধ করেছিলেন খেমচাঁদদের। বদলে বাজেট অধিবেশনের পরে নেতৃত্ববদলের ইঙ্গিত দেন তিনি। কিন্তু নারাজ হন খেমচাঁদ-রাধেশ্যামরা। জট না ছাড়ানোয় শাহ বীরেন বা বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী কারও সঙ্গেই দেখা করেননি। দিল্লি থেকে কুম্ভে যান বীরেন। ইম্ফলে ফিরে আসেন খেমচাঁদরা। রাজ্যে ফিরেই স্পিকার টি সত্যব্রতের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিক্ষুব্ধ শিবিরের ৮ বিধায়ক। উল্লেখ্য, খোদ স্পিকারও বীরেন-বিরোধী শিবিরে। স্পিকার পক্ষে থাকায় অনাস্থা আনতে সুবিধে হবে খেমচাঁদদের। এনপিপির এক বিধায়কের মৃত্যুর পরে ৫৯ জনের বিধানসভায় বিজেপি ৩২, এনপিপির ৬, কংগ্রেসের ৫, জেডিইউয়ের ৬, এনপিএফের ৫ ও ৩ নির্দল বিধায়ক আছেন। যদি বিজেপির ১১ জনের বেশি বিধায়ক অনাস্থায় অংশ নেন, তবে তাঁরা দলত্যাগ-বিরোধী আইনের আওতায় পড়বেন না।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)