রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা।
হরিয়ানায় চাষিরা যে ভাবে কৃষি ক্ষেত্রে মোদী সরকারের তিনটি অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন, তাতে কংগ্রেস ও অন্য বিরোধী দলগুলি রাজনৈতিক সম্ভাবনা দেখছে।
সোমবার থেকে সংসদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সেখানে কেন্দ্র অতিমারির মধ্যে কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য তিনটি অধ্যাদেশকে আইনের চেহারা দিতে সেগুলিকে সংসদে পাশ করানোর চেষ্টা করবে। তিনটি অধ্যাদেশের লক্ষ্য ছিল, অত্যাবশকীয় পণ্য আইনে সংশোধন করে মজুতদারিতে বাধা তুলে দেওয়া, মান্ডির বাইরে চাষিরা যাতে বেসরকারি সংস্থাকে সরাসরি ফসল বেচতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা এবং চুক্তি-চাষের ক্ষেত্রে চাষিদের সুরক্ষার বন্দোবস্ত করা। কংগ্রেস, বাম, তৃণমূল-সহ একাধিক বিরোধী দল এই তিনটি অধ্যাদেশেরই বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু সংখ্যার জোরে মোদী সরকার তা পাশ করিয়ে নিলেও বিজেপি শাসিত হরিয়ানাতেই যে-ভাবে বিক্ষোভ হয়েছে, তাকে রাজনৈতিক পুঁজি করে এগোনো সম্ভব বলে কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন।
কংগ্রেসে সনিয়া গাঁধীর সাহায্যের জন্য তৈরি নতুন কমিটির সদস্য রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা এ দিন মোদী সরকারের অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে বলেন, সুকৌশলে মুনাফাখোর পুঁজিপতিদের সুবিধা করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এতে নতুন জমিদারি ব্যবস্থা তৈরি হবে।
এত দিন মূলত লকডাউন ও তার আগে থেকেই অর্থনীতির ঝিমুনির ফলে বেকারত্ব ও চাকরি খোয়ানো নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল কংগ্রেস। রাহুল শিবিরের নেতারা মনে করছেন, এর সঙ্গে চাষিদের ক্ষোভকে এক জায়গায় আনতে পারলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা যাবে। আজ ইউনিলিভার সংস্থার শীর্ষকর্তাদের সাক্ষাৎকারের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাহুল গাঁধী বলেছেন, দেশের অন্যতম বড় সংস্থা নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও অপেক্ষা করতে চাইছে। কারণ কোভিড বাড়ছে। ফলে কর্মসংস্থান তৈরির আশু সম্ভাবনা নেই। অপরিকল্পিত লকডাউনের ফলে জিডিপি ২৪ শতাংশ কমে গিয়েছে। ১২ কোটি মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। তার পরেও মোদী সরকার সব ঠিক আছে বলে দাবি করে চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy