‘ভোট চুরি’ নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যেঅসন্তোষ তৈরি হলে নেপালেরমতো অশান্তি তৈরির ‘বিপদ’ রয়েছে বলে মোদী সরকারকে সতর্ক করল বিরোধী শিবির। আজ কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার নেতারা ঠারেঠোরে এই বিপদের কথা বলে মোদী সরকারকে কার্যতহুঁশিয়ারি দিয়েছে।
বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ পরিমার্জনের নামে অনিয়মের বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদব ভোটমুখী বিহারে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ করেছিলেন। আজ দিল্লিতে বিহারের কংগ্রেস নেতারা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, পরিমার্জনের পরে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা কী দাঁড়াচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। তাঁদের যুক্তি, ভোট চুরি করে সরকার গঠন হলে সেই সরকার মানুষের জন্য কাজ করবে না। সে ক্ষেত্রে নেপালের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এআইসিসি-তে বিহারের ভারপ্রাপ্ত নেতা কৃষ্ণ অল্লাবরু বলেন, ‘‘যত দিন ভোট চুরি চলবে, তত দিন জনতার জন্য সরকার কাজ করবে না। জনতার মধ্যে আক্রোশ বাড়বে। আক্রোশ বাড়লে বিপদও বাড়বে।’’
শিবসেনা (উদ্ধব)-এর রাজ্যসভার দলনেতা সঞ্জয় রাউতও আজ যুক্তি দিয়েছেন, ভারতের সীমান্তবর্তী নেপালে যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে, তা দুর্নীতি, স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে। ভারতেও তলে তলে অসন্তোষ রয়েছে। তাই সাবধান থাকা দরকার। বিহার বিধানসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা শাকিলআহমেদ খানের যুক্তি, ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা নিয়ে মানুষের ক্ষোভ বিহারে ভোটার অধিকার যাত্রার সময় বেরিয়ে এসেছে। এ বার সংরক্ষণ, রুটিরুজি, শিক্ষা, তরুণদের ভবিষ্যৎ, সবই যে ভোটের অধিকারের সঙ্গে যুক্ত, সেই ‘থিম’-এ রাজনৈতিকপ্রচার হবে।
কংগ্রেসের অভিযোগ, বিহারে এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ্যে আসছে বলেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভোটার অধিকারযাত্রায় তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে অপশব্দ ব্যবহার নিয়ে নালিশ করছেন।কিন্তু এর সঙ্গে আমজনতারসমস্যার সম্পর্ক নেই বলেই বিহারে বিজেপির বন্ধে মানুষ সাড়া দেয়নি। আজ রাহুল গান্ধী তাঁর লোকসভা কেন্দ্র রায়বরেলীতে ছিলেন। সেখানে উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রীদীনেশ প্রতাপ সিংহের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা রাহুলের কনভয় আটকানোর চেষ্টা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী ১৭ সেপ্টেম্বর গয়ায় মায়ের পিণ্ডদান করতে গিয়েও ফের মায়ের প্রসঙ্গ তুলবেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, ওই সময়ে রাহুলও ফের বিহারে প্রচারে যেতে পারেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)