Advertisement
১৮ মে ২০২৪

তৃণমূলে কাজ করুন: রাহুল

শহরে কংগ্রেসের ফল ভাল হয়নি। কিন্তু গ্রামে দল মাটি কামড়ে পড়ে ছিল। তাতেই ঘায়েল হয়েছে বিজেপি। এই মানসিকতা নিয়ে লড়লে সাফল্য আসবেই।

লক্ষ্যে স্থির: দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে পতাকা তোলার পরে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। নয়াদিল্লিতে দলের সদর দফতরে। ছবি: রয়টার্স।

লক্ষ্যে স্থির: দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে পতাকা তোলার পরে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। নয়াদিল্লিতে দলের সদর দফতরে। ছবি: রয়টার্স।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:১৩
Share: Save:

তৃণমূল স্তরে পরিশ্রম করে যাঁরা সংগঠনকে দাঁড় করাবেন, দলে তাঁরাই অগ্রাধিকার পাবেন। দিল্লিতে ঘোরাঘুরি করে প্রভাব খাটিয়ে কোনও লাভ হবে না। আজ কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে দলীয় বৈঠকে নেতাদের সাফ এ কথা জানিয়ে দিলেন রাহুল গাঁধী। মাটি কামড়ে পড়ে থেকে সংগঠন শক্ত করার দাওয়াই দেওয়ার পাশাপাশি গুজরাতে ‘সাফল্যের’ মন্ত্রও এ দিন নেতাদের শুনিয়েছেন কংগ্রেসের তরুণ সভাপতি।

সনিয়া গাঁধী যখন ছুটি কাটাচ্ছেন, রাহুল তখন মগ্ন দলের কাজে। সকালে এআইসিসি সদর দফতরে পতাকা তোলার পরে বক্তৃতা দেন সভাপতি। রাতে গোটা দেশ থেকে আসা নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। সেখানেই রাহুল বলেন, বিজেপি যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তাদের পরাস্ত করা যে সম্ভব— গুজরাতেই তা প্রমাণ হয়েছে। শহরে কংগ্রেসের ফল ভাল হয়নি। কিন্তু গ্রামে দল মাটি কামড়ে পড়ে ছিল। তাতেই ঘায়েল হয়েছে বিজেপি। এই মানসিকতা নিয়ে লড়লে সাফল্য আসবেই।

সকালে রাহুল বলেছিলেন, ‘‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিজেপি মিথ্যার আশ্রয় নিলেও কংগ্রেস সত্যেরই রক্ষা করবে। আমরা তার খেসারত দিতে পারি, ভাল ফল না-ও করতে পারি, হারতেও পারি, কিন্তু সত্যকে ছাড়ব না।’’ আর সন্ধের বৈঠকে নেতাদের কাছ থেকে তিনি জানতে চেয়েছেন জেলা স্তর নিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা। দলীয় সূত্রের খবর, রাহুল এই সময়েই বুঝিয়ে দেন যে, তৃণমূল স্তরে কাজ করতে হবে। পরাজয়ে দলের মধ্যে যাতে হতাশার পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে ব্যাপারেও সচেতন তিনি। তাই গুজরাতের নজির সামনে রেখেই ঘুরে দাঁড়ানোর জমি তৈরি করতে চেয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি।

সন্ধের বৈঠকে প্রদীপ ভট্টাচার্য, দীপা দাশমুন্সি, সোমেন মিত্রের মতো পশ্চিমবঙ্গের নেতারা ছিলেন। কংগ্রেসের এক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, গুজরাতের পরে রাহুলের নজর এ বার কর্নাটকে। আজ বৈঠকের পরে রাতেই কর্নাটকের সংগঠনকে ঢেলে সেজেছেন তিনি। দু’টি জেলা কমিটির সভাপতি নিয়োগ করেছেন। এ ছাড়াও সংগঠনে একশো জনের বেশি নাম অনুমোদন করেছেন। কাল সকালেই শিমলায় পাড়ি দিচ্ছেন রাহুল। দিনভর বৈঠক করবেন নেতাদের সঙ্গে। হারের কারণ পর্যালোচনা করে দলকে তৈরি করবেন পরের ভোটের জন্য। এক বিজেপি নেতা অবশ্য খোঁচা দিলেন, ‘‘রাহুল এখন এত কাজ দেখাচ্ছেন। বছরের শেষে তিনিও মায়ের সঙ্গে ছুটি কাটাতে চলে যাবেন না তো?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE