৯০ ডিগ্রির রেলসেতু নিয়ে যখন সারা দেশে চর্চা চলছে, সেই মধ্যপ্রদেশেই আবার আরও এক রেলসেতু নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ভোপালের পর এ বার ইনদওর।
ইনদওরের পোলো গ্রাউন্ডের কাছে একটি রেলসেতু বানানো হয়েছে। ভগীরথপুরা হয়ে পোলো গ্রাউন্ডের সঙ্গে লক্ষ্মীবাঈনগরের সঙ্গে সংযোগস্থাপনে এই সেতুটি বানানো হচ্ছে। এ বার আর একটি নয়, ওই সেতুতে দু’টি এমন বাঁক বানানো হয়েছে যে, সেটি অনেকটা ইংরেজি হরফ ‘জ়েড’-এর মতো দেখতে। আর পূর্ত দফতরের এমন নির্মাণে হতবাক স্থানীয়েরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন কাজের মান নিয়ে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সেতুতে একটি ৯০ ডিগ্রির বাঁক রয়েছে লক্ষ্মীবাঈনগরের দিক থেকে আসার পথে। আর একটি বাঁক রয়েছে এমআর-৪ এর দিকে। আর এই দু’টি বাঁক নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রেলসেতুর কাছেই রয়েছে রেলের গুদাম। ট্রাকচালকেরা জানাচ্ছেন, যে ধরনের সেতুর বাঁক তৈরি করা হয়েছে, তাতে দুর্ঘটনা অনিবার্য।
৯০ ডিগ্রির সেই সেতু। ছবি: সংগৃহীত।
এই সেতুর নকশা পর্যবেক্ষণের পর পূর্ত দফতরকে দ্রুত তা বদলানোর কথা জানিয়েছিলেন বলে দাবি ইনদওরের সাংসদ শঙ্কর ললওয়ানির। সেতুটির এমন আকৃতি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করায় সেই নকশা বদলানোর পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে বলে পূর্ত দফতর জানিয়েছে। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এমন নমুনা দেখে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি হাসিঠাট্টাও শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে।
তবে এমন ঘটনার সাক্ষী প্রথম নন রাজ্যবাসী। এর আগে ভোপালে ৯০ ডিগ্রির রেলসেতু সকলের নজর কেড়েছিল। সে ক্ষেত্রেও সেতুর নকশা দেশবাসীকে স্তম্ভিত করেছিল। ভোপালের ৯০ ডিগ্রি সেতু নিয়ে নানা রকম মিমও ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সেই রেলসেতু নির্মাণ করা হয়। ৯০ ডিগ্রির সেতু নিয়ে যখন চার দিকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, হস্তক্ষেপ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। এই নির্মাণকাজের সঙ্গে জড়িত আট ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়। যে সংস্থা সেতুটি বানিয়েছে, সেটিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। মহামই কা বাগ এবং পুষ্পনগরের মধ্যে যোগাযোগ মসৃণ করতে নিউ ভোপালের স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এই রেলসেতুটি তৈরি করা হয়। সেতু নির্মাণের পর সেটির একটি ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়।