এক মহিলার নমাজ পড়ার ভিডিয়ো নিয়ে বিতর্ক ছড়াল। প্রতীকী ছবি।
বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে হাসপাতাল চত্বরে এক মহিলার নমাজ পড়ার ভিডিয়ো নিয়ে বিতর্ক ছড়াল। তবে ওই মহিলা কোনও অপরাধ করেননি এবং তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের একটি আইন অনুযায়ী, মুসলিমেরা প্রকাশ্যে নমাজ পড়তে পারেন না। কেবল মসজিদের ভিতরে নমাজ পড়ার অধিকার রয়েছে তাঁদের। সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানিয়েছে, প্রয়াগরাজের তেজ বাহাদুর সপ্রু চিকিৎসালয়ে ভর্তি এক আত্মীয়ের দেখভালের জন্য সেখানে ছিলেন ওই মহিলা। তাঁর সম্মতি ছাড়াই নমাজ পড়ার ভিডিয়ো তুলে ভাইরাল করে দেওয়া হয়। ওই মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে দাবি করে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।
এই ঘটনার ফলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তথা সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন এমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘হাসপাতালে নিজের আত্মীয়ের দেখাশোনা করার সময়ে যদি কেউ কারও ভাবাবেগে আঘাত না করে এক কোণে নমাজ পড়েন তবে সমস্যা কোথায়? উত্তরপ্রদেশ পুলিশের আর কোনও কাজ নেই? নমাজ পড়লেই অভিযোগ দায়ের হচ্ছে।’’
পরে পুলিশ জানায়, ওই মহিলা কোনও অপরাধ করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তদন্ত করে দেখা গিয়েছে হাসপাতালে ভর্তি এক জনের আরোগ্য কামনা করে তিনি প্রার্থনা করছিলেন। তাঁর কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। তাঁর নমাজ পড়ার জন্য কারও কাজকর্ম বা যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়নি। এটা অপরাধের শ্রেণিতে পড়ে না।
তেজ বাহাদুর সপ্রু চিকিৎসালয়ের চিফ মেডিক্যাল সুপার এম কে চৌধুরির অবশ্য দাবি, ‘‘হাসপাতালের ওয়ার্ডে এই ধরনের কাজকর্ম নিয়ে আমরা কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছি। এটা প্রকাশ্য স্থান। এখানে এমন কাজকর্ম চলতে পারে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy