বনধের খবরেই স্তব্ধ যানবাহন। জাতীয় সড়কে ট্রাকের সারি। ধানবাদে চন্দন পালের তোলা ছবি।
সংবাদমাধ্যমে কে ফোন করে জানিয়েছিল তিন দিনের মাওবাদী বনধের কথা? ওই তথ্য কি ভুল ছিল? গত রাতে সংবাদমাধ্যমে মাওবাদী মুখপাত্র গোপালজির পাঠানো বিবৃতিতে ওই প্রশ্নই উঠল।
ওই বিবৃতিতে জানানো হয়— ১২, ১৩ ও ১৪ জুন মাওবাদীরা কোনও বনধ ডাকেনি। পলামুর জঙ্গলে সিআরপি বাহিনীর গুলিতে ১২ জনের মৃত্যুর প্রতিবাদে ২৩ জুন বনধ পালন করা হবে। গোপালজি ওই বিবৃতিতে লিখেছেন— ‘আমরা তিন দিনের বনধ নিয়ে কোনও ফোন কাউকে করিনি। পুলিশ চক্রান্ত করে এ সব করেছে। ২৩ জুন ঝাড়খণ্ড, বিহার, ছত্তীসগঢ়ে বনধ পালন করা হবে।’ তা ছাড়া, ১৬ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি (পিএলজিএ) ‘প্রতিরোধ সপ্তাহ’ পালন করবে। গোপালজির হুঁশিয়ারি, পলামুর জঙ্গলে সিআরপি বাহিনীর অভিযানের বদলা তাঁরা নেবেন। তাঁর দাবি, ওই সংঘর্ষে নিহত ১২ জনের মধ্যে পাঁচ জন তাঁদের সংগঠনের সদস্য ছিলেন না।
মাওবাদী নেতার বক্তব্য উড়িয়েছেন রাজ্য পুলিশের এডিজি সত্যনারায়ণ প্রধান। তিনি বলেন, ‘‘১১ জুন রাতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দফতর থেকে পুলিশকে জানানো হয়, মাওবাদী নেতা গোপালজি ফোন করে তিন দিন বন্ধের কথা জানিয়েছেন।’’ প্রধান জানান, কিন্তু পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের কাছে সে রকম কোনও তথ্য ছিল না। পুলিশকর্তার মন্তব্য, ‘‘আমরা তখন সংবাদমাধ্যমগুলিকে জানিয়েছিলাম যে ওই ফোন ভুয়োও হতে পারে। তবে বনধের খবর প্রকাশিত হওয়ায় পুলিশ সর্তকতা নিয়েছিল।’’ প্রধান জানিয়েছেন, ২৩ জুন মাওবাদী বনধের খবর তিনি পেয়েছেন।
এ দিকে তিন দিনের মাওবাদী বনধে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন প্রান্তে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। বোকারো, ধানবাদ, লাতেহার, হাজারিবাগের খনি অঞ্চলে কাজকর্ম বন্ধ ছিল। ঝাড়খণ্ড ট্রাক ওনার্স অ্যসোসিয়েশন জানিয়েছে, আগে মাওবাদী বন্ধে রাস্তায় ট্রাক পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। তাই বন্ধে তাঁদের কোনও সদস্য ট্রাক চালানোর সাহস দেখাননি।
এ দিকে, গুমলার চৈনপুরে ধৃত মাওবাদী সাব-জোনাল কম্যান্ডার অরবিন্দজি ওরফে প্রসাদ লকড়ার বাড়ি থেকে প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে মিলেছে ১০০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, তার ও বোমা তৈরির নানা সরঞ্জাম। বাড়ির উঠোনে বিস্ফোরক পুঁতে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার প্রসাদকে গ্রেফতার করা হয়। আজ সকালে গুমলা থেকে ‘পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া’র আঞ্চলিক কম্যান্ডার অমৃত হোর ও জোনাল কম্যান্ডার অর্জুন রামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy