প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর জন্মদিনে তাঁর প্রশংসা করে বিতর্কে জড়িয়েছেন। এ বার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধীর কথা উল্লেখ করে সেই মন্তব্যে অনড় থাকলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর।
আডবাণীর ৯৮তম জন্মদিনে তাঁর প্রশংসা করে তারুর সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘জনসেবার প্রতি ওঁর অবিচলিত অঙ্গীকার, ওঁর বিনয় ও ভদ্রতা এবং আধুনিক ভারত গঠনে ওঁর ভূমিকা মোছা যাবে না। উনি এক জন প্রকৃত রাষ্ট্রনেতা যাঁর কাজ নজিরহয়ে রয়েছে।’’
এর পরেই তারুরকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে। তিনি বলেন, ‘‘দুঃখিত, দেশে ঘৃণার বীজ বপন করা জনসেবা নয়।’’ পরোক্ষে হেগড়ের ইঙ্গিত ১৯৯০-এর রাম জন্মভূমি আন্দোলন নিয়ে। আডবাণীর সমালোচনা করতে খুশবন্ত সিংহের মন্তব্য উদ্ধৃত করেছেন হেগড়ে।
তবে হেগড়ের মন্তব্য মানতে রাজি নন তারুর। তিনি বলেন, ‘‘ওঁর বছরের পর বছর ধরে কাজকে কেবল একটি পর্বে নামিয়ে আনা ঠিক নয়। যেমন নেহরুজির কাজের মূল্যায়ন কেবল চিনের ধাক্কা বা ইন্দিরা গান্ধীর মূল্যায়ন কেবল জরুরি অবস্থা দিয়ে হবে না। আমার মনে হয়, আডবাণীজিকে একই সম্মান জানানো উচিত।’’
এর আগে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর বৈঠকের প্রশংসা করেছিলেন তারুর। তা নিয়ে দলের অন্দরেই সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। বস্তুত অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য প্রচারে ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বিদেশ যাত্রার পরথেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ববেড়েছে তারুরের।
আডবাণী সম্পর্কে মন্তব্য নিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেড়ার বক্তব্য, ‘‘অন্য সময়ের মতোই তারুর নিজের কথাই বলছেন। এই মন্তব্যের সঙ্গেও কংগ্রেসের সম্পর্ক নেই। কংগ্রেসের গণতান্ত্রিক ও উদার প্রকৃতির জন্যই তিনি কংগ্রেস সাংসদ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য থেকেও এমন মন্তব্য করতে পারছেন।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)