E-Paper

‘ভোট দিলে মিলবে টাকা’, অজিতের মন্তব্যে বিতর্ক

আগামী ২ ডিসেম্বর মালেগাঁও নগরে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার প্রচারে গিয়ে অজিত বলেছেন, ‘‘এনসিপির ১৮ জন প্রার্থীকে যদি আপনারা নির্বাচিত করেন, তা হলে তহবিলের কোনও ঘাটতি থাকবে না। আপনারা যদি সব ১৮ জনকে জয়ী করেন, তবে আমি যেগুলি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সেগুলি পূরণ করবই।”

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:৪৪
মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার।

মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার। — ফাইল চিত্র।

ভোট দিলে, মিলবে প্রকল্পের টাকা। অন্যথা হলে টাকা দেওয়া হবে না। এনসিপি প্রধান তথা মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের এই মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। শিবসেনার অভিযোগ, ভোটদাতাদের সরাসরি হুমকি দিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী। আর এনসিপি (এসপি) বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে।

আগামী ২ ডিসেম্বর মালেগাঁও নগরে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার প্রচারে গিয়ে অজিত বলেছেন, ‘‘এনসিপির ১৮ জন প্রার্থীকে যদি আপনারা নির্বাচিত করেন, তা হলে তহবিলের কোনও ঘাটতি থাকবে না। আপনারা যদি সব ১৮ জনকে জয়ী করেন, তবে আমি যেগুলি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সেগুলি পূরণ করবই। কিন্তু যদি আপনারা প্রত্যাখ্যান করেন, আমিও প্রত্যাখ্যান করব। আপনাদের কাছে ভোট আছে, আমার কাছে আছে তহবিল।’’ অজিতের হাতে অর্থ দফতরও রয়েছে।

এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়েছে মহারাষ্ট্রের বিরোধী শিবির। শিবসেনা(ইউবিটি)-র অভিযোগ, ভোটারদের ‘হুমকি দিচ্ছেন’ এবং ‘ভয় দেখাচ্ছেন’ অজিত। শিবসেনার (ইউবিটি)-র নেতা অম্বেকর দানভে বলেন, ‘‘যে তহবিল থেকে টাকা দেওয়া হয়, সেই টাকা আসে সাধারণ মানুষের করের থেকে। অজিত পওয়ারের বাড়ি থেকে নয়। অজিত পওয়ারের মতো নেতা যদি ভোটদাতাদের এ ভাবে হুমকি দেন, তা হলে নির্বাচন কমিশন কী করছে।’’

অজিতের মন্তব্যকে গণতন্ত্রের উপরে আঘাত বলে অভিযোগ করেছে শরদ পওয়ারের এনসিপি(এসপি)। দলের মুখপাত্র মহেশ তাপসে বলেন, ‘‘এই ধরনের কথা শুধু ভোটদাতাদের হুমকি ও ভয় দেখানোর মতো। দেশের সংবিধান প্রকৃত ক্ষমতা দেশবাসীর হাতে দিয়েছে, কোনও সরকারি পদাধিকারীর জনগণের ভোটাধিকারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা গণতন্ত্রের উপরে আঘাত।’’ তাঁর যুক্তি, অজিত জনসাধারণের তহবিলের রক্ষক মাত্র, মালিক নন। এই তহবিল সাধারণ মানুষের দেওয়া করের অর্থ থেকে আসে। নির্বাচনে তাঁর পছন্দের প্রার্থীরা জিতুক বা হারুক—জনসাধারণের টাকা রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং সকলের জন্য ব্যয় করা বাধ্যতামূলক। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকেও টেনে এনেছেন মহেশ। তাঁর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রীএবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলতে চাই, আপনারা যে জোটকে সমর্থন করেন, সেখানে এই প্রকাশ্য জুলুম এবং আর্থিক হুমকির রাজনীতি কী ভাবে সহ্য করা হচ্ছে? ভোটারদের ব্ল্যাকমেল করতে রাজ্যের অর্থ দফতরকে ব্যবহারের বিষয়টি কি বিজেপি সমর্থন করে?’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ajit Pawar Maharashtra Controversy

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy