যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিতেই বিচারককে জুতো ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠল এক আসামির বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনায় আদালতের ভিতরে হুলস্থুল পড়ে যায়। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানার রঙ্গারেড্ডি জেলা আদালতে।
ওই দিন আদালতে হাজির করানো হয়েছিল আসামি সর্দার শ্যাম কুর্তি ওরফে কাম সিংহকে। তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের হয়েছিল জগদগিরিগুট্টা থানায়। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল কাম সিংহ। গত মঙ্গলবার ছিল রায়দান। চারলাপল্লি জেল থেকে নির্ধারিত সময়ে জেলা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল আসামি কাম সিংহকে।
নির্ধারিত সময়ে শুনানি শুরু হয়। রায়দানের সময় যখন আসে, তখন আদালতের ভিতরে গুঞ্জন চলছিল কী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বিচারক, এই বিষয়ে। শুনানির একটু পরেই বিচারক যখন রায় দেন, তা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়ে কাম সিংহ। তার পর আচমকাই জুতো খুলে বিচারককে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারে আর চিৎকার করতে থাকে। যদিও সঙ্গে সঙ্গে কাম সিংহকে কাঠগড়া থেকেই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আদালত থেকে বার করে নিয়ে আসেন পুলিশকর্মীরা। আচমকা এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে যান আদালতে উপস্থিত আইনজীবীরাও। কী ভাবে নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও আদালতের ভিতরে এমন কাণ্ড ঘটল, তার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত কর্তৃপক্ষ।
এই প্রথম নয়, এই আদালতেই বিচারককে জুতো ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটেছিল দিন কয়েক আগেই। করণ সিংহ নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন দেয় জেলা আদালত। করণের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছিল। বিচারকের কাছে করণ অভিযোগ জানায়, তার উপর জেলে অত্যাচার করা হয়েছে। বিচারক তাকে কাছে ডেকে বিষয়টি খোলসা করে বলতে বলেন। তখনই বিচারকের দিকে জুতো ছুড়ে মারে করণ।