Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Coronavirus in India

কমল সংক্রমণ, অ্যাক্টিভ রোগীও

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, মোট সংক্রমিতের মাত্র ৩.৭১ শতাংশ এখন অ্যাক্টিভ রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা আবার ৩০ হাজারের নীচে নেমেছে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:০৬
Share: Save:

দেশে অ্যাক্টিভ কোভিড রোগীর সংখ্যা নামল ৩.৬৩ লক্ষে। গত ১৪৬ দিনের মধ্যে এই অঙ্ক সর্বনিম্ন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, মোট সংক্রমিতের মাত্র ৩.৭১ শতাংশ এখন অ্যাক্টিভ রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা আবার ৩০ হাজারের নীচে নেমেছে। ওই একই সময়ে সুস্থের সংখ্যা সেখানে ৩৭ হাজারের বেশি। চলতি মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার দৈনিক সংক্রমণ ৩০ হাজারের নীচে নামল। সুস্থতার হার ৯৪.৮৪ শতাংশে পৌঁছেছে। গত কাল থেকে সারা দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪১৪ জন কোভিড রোগীর।

গত কাল থেকে সারা দেশে কোভিডজয়ীর সংখ্যায় শীর্ষে কর্নাটক (৫০৭৬) আক্রান্তের সংখ্যার শীর্ষে কেরল (৪৪৭০)। তার পরে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তবে গত এক সপ্তাহে সুস্থের গড় ধরলে মহারাষ্ট্রই প্রথম। কর্নাটক অবশ্য সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর জানান, ওষুধ কেনার জন্য ২২.৫০ কোটি টাকা আলাদা করে রেখেছে সরকার। এ ছাড়া র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট কেনার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১১.৩২ কোটি। পঞ্জাব সরকার নৈশ কার্ফুর মেয়াদ ১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে। ওই রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব হাসান লাল জানিয়েছেন, রাজ্য জুড়ে করোনার টিকাকরণের সমস্ত বন্দোবস্ত সেরে ফেলা হয়েছে। টিকা মজুতের জন্য ৭২৯টি কোল্ড চেন পয়েন্ট তৈরি রেখেছে পঞ্জাব।

আরও পড়ুন: জরুরি ব্যবহারে ফাইজার টিকাকে ছাড়পত্র এ বার আমেরিকাতেও

আরও পড়ুন: অনাস্থা এনে দেখান, চ্যালেঞ্জ ইমরানের

টিকাকরণের প্রস্তুতির আবহে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও অদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে প্রতি মাসে টিকার ১০ কোটি ডোজ় তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। ভারতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার টিকা ‘কোভিশিল্ড’ পরীক্ষা ও উৎপাদনের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটির শীর্ষ কর্তা সংবাদ সংস্থা এপি-কে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বর্তমানে বছরে ১৫০ কোটি ডোজ় টিকা তৈরির ক্ষমতা রয়েছে তাঁদের। ২০২১ সালের শেষে তা ২৫০ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, কোভিশিল্ডের ৫ কোটি ডোজ় তৈরির পাশাপাশি ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ডিসিজিআই-এর কাছে জরুরি ভিত্তিতে তা প্রয়োগের অনুমতি চেয়েছে সিরাম। পুনাওয়ালা বলেন, ‘‘(লাইসেন্স পাওয়ার পরে) বিপুল মাত্রায় উৎপাদন শুরু করতে এখনও মাস দুয়েক লাগবে।’’ তাঁর মতে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা মনে করিয়ে দিয়েছে কোভিড অতিমারি।

পুণের আর এক সংস্থা জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ইতিমধ্যেই ভারতে করোনার টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরুর সবুজ সঙ্কেত পেয়েছে। এই মুহূর্তে এ দেশে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি বা দেশি-বিদেশি সহযোগিতায় যে আটটি টিকা তৈরি হচ্ছে, তার অন্যতম জেনোভার এই ‘এইচজিসিও-১৯’। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এটিই ভারতের প্রথম এমআরএনএ টিকা। আমেরিকার এইচডিটি বায়োটেক কর্পোরেশনের সহযোগিতায় তৈরি এই টিকা পরীক্ষার ছাড়পত্র দিয়েছে ডিসিজিআই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in India Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE