Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Coronavirus in India

অক্সিজেন ঘাটতি মেটাতে নজরদারি মোদী-শাহের, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় জানাল কেন্দ্র

টিকার দু’রকম দাম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বাংলা-সহ বেশ কিছু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শীর্ষ আদালতও জানতে চেয়েছে, এক টিকার দাম দু’রকম হল কেন।

ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২১ ২২:২৩
Share: Save:

করোনা মোকাবিলায় জাতীয় স্তরে কেন্দ্রের পরিকল্পনা জানিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। একই সঙ্গে করোনা টিকার দামের ফারাক নিয়ে এ বার প্রশ্ন তুলে দিল খোদ সুপ্রিম কোর্টও। কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল, এক টিকার দুই রকম দাম হল কেন?

হলফনামায় কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে এবং অক্সিজেনের উৎপাদন ও সরবরাহ ঠিক রাখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ক্রমাগত কাজ করে চলেছেন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেন সরবরাহে ট্যাঙ্কারের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। শিল্প সংস্থাগুলিকেও অক্সিজেন উৎপাদনে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

মঙ্গলবার ২০০ পাতার ওই হলফনামায় কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রতিদিনের খুঁটিনাটি না জানালেও ‘জাতীয় কোভিড পরিকল্পনা’য় করোনা রোখার একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টা তুলে ধরা হয়েছে।

এই পরিকল্পনায় কেন্দ্রীয় এবং সংশ্লিষ্ট স্তরে জড়িত সকলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টিও যথাসম্ভব নমনীয় রাখা হয়েছে। চলতি অতিমারির সময় দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে যাতে সহজেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, সে জন্যই এ রকম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের।

এর আগে শীর্ষ আদালত জানতে চেয়েছিল, করোনার মতো অতিমারির মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র? তারই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, জরুরি সামগ্রী সরবরাহ এবং পরিষেবা চালু রাখতে সরকার কী কী পরিকল্পনা করেছে। যদিও এ নিয়ে বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করেনি কেন্দ্রীয় সরকার।

হলফনামা জমা দিলেও মঙ্গলবার টিকার দাম নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে। টিকার দু’রকম দাম নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বাংলা-সহ বেশ কিছু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতও কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছে, একই টিকার দাম দু’ধরনের হল কেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, দেশে বর্তমানে ‘জাতীয় বিপর্যয়’-এর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই কঠিন সময়ে রাজনীতি দূরে সরিয়ে রেখে একে অন্যের পাশে দাঁড়ানো উচিত। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, এই মুহূর্তে মানুষের জীবন বাঁচানোই আদালতের অগ্রাধিকার। প্রয়োজন হলেই হস্তক্ষেপ করবে আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE