আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিণত করা হচ্ছে রেলের কামরা।—ছবি রয়টার্স।
করোনা সংক্রমণ থেকে চিকিৎসক ও বিভিন্ন স্তরের স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা দিতে সারা দেশেই পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বা বর্মবস্ত্রের চাহিদা বাড়ছে। এই অবস্থায় দেশ জুড়ে নিজস্ব ওয়ার্কশপে পিপিই তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে রেল। সম্প্রতি হরিয়ানায় উত্তর রেলের একটি ওয়ার্কশপে তৈরি পিপিই-র প্রোটোটাইপ বা প্রতিরূপ ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন বা ডিআরডিও-র ছাড়পত্র পেয়েছে। বাজারচলতি দামের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ দামে ওই পিপিই তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়ার পরে রেলের পিপিই তৈরির পরিকল্পনা গতি পেয়েছে।
সারা দেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এক কোটির বেশি পিপিই আমদানি করছে কেন্দ্র। সর্বত্র এই বর্মবস্ত্রের বিপুল চাহিদা রয়েছে। এই অবস্থায় চাহিদা মেটাতে কাজ শুরু করছে উত্তর রেল। তবে তাদের পক্ষে বিভিন্ন ওয়ার্কশপ মিলিয়ে দিনে মাত্র ১০০টি পিপিই বা কভারঅল তৈরি করা সম্ভব। উৎপাদন বাড়াতে উত্তর রেল ছাড়াও দেশের অন্যান্য প্রান্তের নিজস্ব ওয়ার্কশপে এই কাজ শুরু করতে চায় রেল। সেই জন্য তৈরির পদ্ধতি, উপকরণের বিবরণ সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে প্রযুক্তিগত ভাবে সাহায্য করা হবে অন্যান্য ওয়ার্কশপকেও।
পিপিই ছাড়াও ভেন্টিলেটর তৈরির কাজে হাত দিয়েছে রেল। কাপুরথালার রেল কোচ ফ্যাক্টরি সম্প্রতি খুব কম খরচে ভেন্টিলেটরের প্রোটোটাইপ বা প্রতিরূপ তৈরি করেছে। ওই যন্ত্রের কার্যকারিতা খতিয়ে দেখছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। ওই সংস্থার অনুমোদন পেলে তবেই তার বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করা যাবে বলে রেল সূত্রের খবর। করোনা মোকাবিলায় পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেল তাদের অধীন লোকো শেডগুলিতে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার তৈরি করছে। পূর্ব রেলের ন’টি ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের চারটি ওয়ার্কশপে ৬৫০ কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy