প্রতীকী ছবি।
করোনা রোগীদের চিকিৎসায় মলনুপিরাভির ব্যবহারের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পাশাপাশি, নয়া নির্দেশিকায় গুরুতর অসুস্থদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। উপসর্গ দেখা দেওয়ার ১০ দিনের মধ্যে রেমডেসিভির প্রয়োগ করা যেতে পারে জানাচ্ছে ওই নির্দেশিকা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অক্সিজেনের পাশাপাশি রেমডেসিভির জন্যও হাহাকার চলছে দেশে। ওষুধটির দেদার কালোবাজারির অভিযোগ উঠছে। পরবর্তী সময়ে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের মতোই রেমডেসিভির ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়। গত বছর থেকেই করোনা চিকিৎসায় ‘ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ’ রেমডেসিভির ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা (হু)।
করোনা হলে কখন হাসপাতালে যাওয়া দরকার সে বিষয়েও সোমবারের নির্দেশিকায় স্পষ্ট বার্তা রয়েছে। কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত ওই নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে কোন পরিস্থিতিতে, কী ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করানোর বদলে রোগীর হাসপাতালে যাওয়া উচিত। বলা হয়েছে, শ্বাসকষ্ট এবং হাইপক্সিয়া ছাড়াই হালকা লক্ষণ রয়েছে তাদের বাড়িতে নিভৃতবাসে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হলে, উচ্চ মাত্রায় জ্বর বা গুরুতর কাশি ৫ দিনের বেশি সময় ধরে থাকলেই কেবলমাত্র চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।
মাঝারি উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদের অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ থেকে ৯৩ শতাংশের মধ্যে ওঠা-নামা করলে হাসপাতালের সাধারণ বিভাগে ভর্তির প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এমন রোগীদের দু’ঘণ্টা অন্তর অক্সিজেন দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তির অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ শতাংশের নীচে নেমে গেলে দ্রুত হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে নিয়ে গিয়ে অক্সিজেন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশিকায়। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে কৃত্রিম ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস চালিয়ে যেতে হবে। এ ছাড়া গুরুতর অসুস্থদের চিকিৎসায় মিথাইলপ্রেডনিসোলন বা ডেক্সামেথাসোন ইঞ্জেকশন ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy