করোনা মোকাবিলায় বৈঠকে মোদী। ফাইল চিত্র।
দু’বছর আগে করোনার দ্বিতীয় স্ফীতির গোড়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল ভূরি ভূরি। এ বার দেশে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ার আঁচ পেতেই দ্রুত তৎপর হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংক্রমণের পুরনো ছবি যাতে আর ফিরে না আসে, তা নিশ্চিত করতে বুধবার উচ্চপর্যায়ে বৈঠকে বসলেন তিনি।
বিকেলে সাড়ে ৪টেতে শুরু হওয়া ওই বৈঠকে হাজির রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ, নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য)-সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি, এই বৈঠকে সংক্রমণের সম্ভাব্য স্ফীতির মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য জানাচ্ছে, বুধবার ১,১৩৪টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা চিহ্নিত হয়েছে। ৫ জন কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে (ছত্তীসগঢ়, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাত এবং কেরলে ১ জন করে)। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৭,০২৬। এই পরিস্থিতিতে চিনে করোনাভাইরাসের নতুন উপরূপ ‘বিএফ.৭’-এর ‘সক্রিয়তা’ বাড়ার ঘটনাতেও চিন্তা রয়েছে কেন্দ্রের। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে মাস্ক পরা-সহ বিভিন্ন করোনাবিধি চালু করা এবং পরীক্ষা বাড়ানো এবং জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের বিষয়টি নিয়ে বুধবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে। বৈঠকের আগে স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা সতর্ক করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy