এনআইএ (জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা) হেফাজতেই কোভিড আক্রান্ত হলেন আইএস (ইসলামিক স্টেট)-এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ধৃত মহিলা। আর তার জেরে কোয়রান্টিনে যেতে হল এনআইএ-র এক এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক-সহ অন্তত সাত জন আধিকারিককে। এঁদের মধ্যে কেউ আক্রান্ত হয়েছেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এনআইএ সূত্রে খবর, কোয়রান্টিনে পাঠিয়ে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হতে পারে আরও কয়েকজন আধিকারিকের।
এর আগে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কয়েক জন কর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়। সিল করে দেওয়া হয়েছিল ইডি সদর দফতরের একাংশ। আক্রান্ত হয়েছেন প্রতিরক্ষা দফতরেরও শীর্ষ সচিব।
গত ২৯ মে আইএস জঙ্গি সন্দেহে ধৃত হিনা বসির বেগ, তাঁর স্বামী জাহানজাইব শামি এবং মহম্মদ আবদুল্লা বাসিত-কে জেরার জন্য আদালতে আবেদন করে নিজেদের হেফাজতে নেয় এনআইএ। এই তিন জনই ছিলেন তিহাড় জেলে।
মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে হিনা এবং তাঁর স্বামীকে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল গ্রেফতার করেছিল আইএসের কাশ্মীর শাখার সক্রিয় সদস্য হিসাবে। এনআইএ সূত্রে খবর, আইএস সংক্রান্ত অন্য একটি মামলার তদন্তের প্রয়োজনে হিনা এবং তাঁর স্বামীকে জেরার জন্য হেফাজতে নেয় এনআইএ। ওই দু’জনের সঙ্গে হেফাজতে নেওয়া হয় মহম্মদ আবদুল্লা বাসিতকেও।