Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক দেশে তৈরি হতে পারে জুলাইয়ে

সেরাম-এর এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সুরেশ যাদব বলেন, ‘‘প্রয়োগের ফল আশাপ্রদ হলে প্রথমে ওই প্রতিষেধকের ২০-৩০ লক্ষ ডোজ় উৎপাদন শুরু করব।’’

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২০ ০৪:৪২
Share: Save:

১৪ হাজার, ১৫ হাজার, ১৬ হাজার, ১৭ হাজার...। প্রত্যেক দিন আগের দিনের চেয়ে অন্তত ১ হাজার বেশি নতুন কোভিড রোগীর সন্ধান মিলছে দেশে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা আজ ৪.৭৪ লক্ষ পেরিয়েছে। এ ভাবে সংক্রমণ বাড়লে রবিবারের মধ্যেই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ পেরোবে বলে আশঙ্কা।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমিত ১৬,৯২২ জন। মৃত ৪১৮ জন। রোগীর সংখ্যা যে রাজ্যে সর্বোচ্চ, সেই মহারাষ্ট্র (১,৪২,৯০০), গুজরাত (২৮,৯৪৩) ও তেলঙ্গানা (১০,৩৩১)-য় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়ালের নেতৃত্বে পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কেন্দ্রীয় দলটি কাজ করবে।

ওষুধ নির্মাতা সংস্থা হেটেরো জানায়, তাদের তৈরি ‘কোভিফর’ ব্র্যান্ডের রেমডেসিভিয়ারের প্রথম ২০,০০০ ভায়াল মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু ও গুজরাতে পাঠানো হয়েছে। পরের ব্যাচের ওষুধ কলকাতা, ইনদওর, ভোপাল, লখনউ-সহ ১০টি শহরে যাবে। তবে ওষুধটি হাসপাতাল ও সরকারের মাধ্যমেই পাওয়া যাবে।

পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটের এক শীর্ষ কর্তা জানান, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি ‘চ্যাডক্স-১ এনসিওভি-১৯’ ভ্যাকসিনটি জুলাইয়েই তৈরি শুরু করতে পারেন তাঁরা। ওই প্রতিষেধকের প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শেষ হয়েছে। ফল বেরোতে পারে জুলাইয়ের গোড়ায়। সেরাম-এর এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সুরেশ যাদব বলেন, ‘‘প্রয়োগের ফল আশাপ্রদ হলে প্রথমে ওই প্রতিষেধকের ২০-৩০ লক্ষ ডোজ় উৎপাদন শুরু করব। দ্বিতীয়, তৃতীয় পর্যায়ের প্রক্রিয়া শেষ হলে আরও কয়েক লক্ষ ডোজ় তৈরি হবে।’’ যাদব জানান, ভ্যাকসিনটির দু’টি ডোজ় যে কার্যকর হবে, অক্সফোর্ডের গবেষেকেরা সেই বিষয়ে নিশ্চিত। তাঁরা বাঁদরের উপরে প্রতিষেধকটি পরীক্ষা করেছিলেন। দেখা গিয়েছে, একটি ডোজ় সংক্রমণ রুখতে না-পারলেও নিউমোনিয়া আটকে দিয়েছে। সেরাম-কর্তা জানান, বাঁদরগুলিকে অত্যধিক ভাইরাসের সংস্পর্শে আনা হয়েছিল। সেখানে প্রতিষেধকের মাত্র একটি ডোজ়ই দেওয়া হয়েছিল তাদের।

মোট সংক্রমণ ৭০ হাজার পেরোনোয় দিল্লি টপকে গিয়েছে মুম্বইকে। এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে দু’বার করোনা সংক্রান্ত তাঁর পুরনো নির্দেশ প্রত্যাহার করেছেন দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বৈজল। আজ দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যকর্মীরাই রোগীর বাড়ি যাবেন। রোগী গৃহ-নিভৃতবাসে থাকবেন, নাকি সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্রে যাবেন— পরীক্ষার পরে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE