এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ১২ হাজার ৮৫৪ জন। মৃত্যুর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা দিল্লিতে প্রাণ গিয়েছে তিন হাজার ৭৪৫ জনের। তিন হাজার ২৩২ জনের প্রাণহানি নিয়ে মৃত্যু-তালিকার তৃতীয় স্থানে তামিলনাড়ু। গুজরাতে দু’হাজার ২৫২ জন প্রাণ হারিয়েছেন করোনার কারণে। কর্নাটক (১,৬১৬), উত্তরপ্রদেশ (১,২৮৯) ও পশ্চিমবঙ্গে (১,২৫৫) মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে রোজদিন বেড়েই চলেছে। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ (৮৪৪), মধ্যপ্রদেশ (৭৮০), রাজস্থান (৫৯৪), তেলঙ্গানা (৪৪৭), হরিয়ানা (৩৭৮), জম্মু ও কাশ্মীর (২৮২), পঞ্জাব (২৭৭), বিহার (২১৭, গত তিন দিন অপরিবর্তিত) ও ওড়িশা (১১৪)। বাকি রাজ্যগুলিতে মৃতের সংখ্যা এখনও ১০০ পেরোয়নি। তবে শেষ ক’দিনে কর্নাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশে দৈনিক মৃত্যু সংখ্যার বৃদ্ধি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়লেও, ভারতে করোনা রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যানটাও বেশ স্বস্তিদায়ক। আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন আট লক্ষেরও বেশি মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৪ হাজার ৬০২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এক দিনের নিরিখে যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট আট লক্ষ ১৭ হাজার ২০৮ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হলেন।
শুরু থেকেই মহারাষ্ট্রে বল্গাহীন ভাবে বেড়েছে সংক্রমণ। গোড়া থেকেই এই রাজ্য কার্যত সংক্রমণের শীর্ষে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজার নতুন সংক্রমণের জেরে সে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন তিন লক্ষ ৪৭ হাজার ৫০২ জন। প্রায় সাড়ে ছ’হাজার বেড়ে তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত হলেন এক লক্ষ ৯২ হাজার ৯৬৪ জন। জুনের তুলনায় বিগত কয়েক সপ্তাহে রাজধানী দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণে বেশ খানিকটা লাগাম পড়েছে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ২৭ হাজার ৩৬৪ জন।
গত কয়েক দিনে কর্নাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশে বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। যার জেরে সংক্রমণ তালিকার চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে দক্ষিণের এই দুই রাজ্য। কর্নাটকে মোট আক্রান্ত ৮০ হাজার ৮৬৩ জন ও অন্ধ্রপ্রদেশে মোট আক্রান্ত ৭২ হাজার ৭১১ জন। উত্তরপ্রদেশ (৫৮,১০৪), গুজরাত (৫২,৪৭৭), পশ্চিমবঙ্গে (৫১,৭৫৭) ও তেলঙ্গানাতেও (৫০,৮২৬) আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে চলেছে। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে রাজস্থান (৩৩,২২০), বিহার (৩১,৯৮০), হরিয়ানা (২৮,৯৭৫), অসম (২৮,৭৯১), মধ্যপ্রদেশ (২৫,৪৭৪), ওড়িশা (২১,০৯৯), জম্মু ও কাশ্মীর (১৬,৪২৯), কেরল (১৬,১১০) ও পঞ্জাব (১১,৭৩৯)। ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, ত্রিপুরার মতো রাজ্যে মোট আক্রান্ত এখনও পাঁচ হাজারের আশপাশে।