প্রতীকী ছবি
দেশের অভ্যন্তরে ফের উড়ান পরিষেবা চালু করতে গেলে অন্তত আট দিন আগে তাদের টিকিট বিক্রির সুযোগ দিতে হবে বলে বেসরকারি উড়ান সংস্থাগুলি কেন্দ্রকে জানিয়ে দিয়েছে। ফলে ১৭ মে লকডাউন উঠে যাওয়ার অব্যবহিত পরেই খুব কম সংখ্যায় হলেও ঘরোয়া উড়ান চলাচলের যে-সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তা আর থাকছে না। বিমান মন্ত্রক সূত্রের খবর, সে-ক্ষেত্রে টিকিট বিক্রি শুরু হতে পারে লকডাউনের পরে। উড়ান পরিষেবা চালু করতে মে মাসের শেষ, এমনকি জুনও হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রতিটি বিমানবন্দর থেকে ঘণ্টায় চারটির বেশি উড়ান চালু করা যাবে না এবং আপাতত এক-চতুর্থাংশ উড়ান চলবে, এমনটা ধরে নিয়ে সব উড়ান সংস্থাকে নতুন উড়ানসূচি জমা দিতে বলা হয়েছে। ১১টি রাজ্য এখনই তাদের শহর থেকে উড়ান চালাতে দিতে চায় না এবং তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। তাই বেসরকারি উড়ান সংস্থার নতুন সূচিতে কলকাতা, অণ্ডাল বা বাগডোগরার নাম নেই। একটি বেসরকারি উড়ান সংস্থার কর্তা জানান, পূর্ব ভারতে আপাতত উড়ান চালানো হবে প্রধানত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি এবং ভুবনেশ্বর থেকে।
বিমান মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল, বিমানে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাঝখানের আসনের টিকিট বিক্রি করা যাবে না। জানলার পাশে এবং ধারের (আইল) আসনে যাত্রী বসবেন। কিন্তু একাধিক সংস্থা জানিয়ে দেয়, এই শর্তে তারা উড়ান চালাবে না। তদের যুক্তি, জানলা ও ধারের আসনের মধ্যে দূরত্বও তো বেশি নয়। একেবারে ঠিক ভাবে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হলে তো একটি সারিতে দু’জনের বেশি যাত্রী বসানো যাবে না।
পরে বিমান মন্ত্রক যে-নিয়মাবলি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিয়োর বা এসওপি) বানায়, তাতে মাঝখানের আসন বাদ দেওয়ার কথা বলা নেই। তাতে বলা হয়েছে, সব বিমানেই শেষ তিনটি সারির আসন খালি রাখতে হবে। উড়ানে কোনও যাত্রীর দেহে করোনার উপসর্গ দেখা গেলে তাঁকে ওই তিন সারিতে বসানো হবে। বিমান মন্ত্রকের খবর, এতেও আপত্তি জানিয়েছে উড়ান সংস্থাগুলি। তাদের যুক্তি, কোনও ঘরোয়া উড়ানেরই সফর-সময় আড়াই ঘণ্টার বেশি নয়। এখন বিমানে ওঠার আগে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। উপসর্গ থাকলে বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না। “তার পরেও আড়াই ঘণ্টার মধ্যে যদি উপসর্গ দেখা যায়, তার জন্য উড়ানে ১৮টি আসন খালি রাখতে হবে! উড়ান ধরার আগে যাত্রীরা দেখবেন জ্বরের ওষুধ খেয়ে আসবেন। শুধু জ্বরের জন্য কে আর উড়ান মিস করতে চাইবেন,” বলেন বেসরকারি উড়ান সংস্থার এক কর্তা।
শেষ তিনটি সারির আসন খালি রাখার বিষয়ে মন্ত্রকের কাছে আপত্তি জানিয়েছে উড়ান সংস্থাগুলি। নতুন করে নিয়মাবলি নিয়ে বসেছে মন্ত্রক। সেটি চূড়ান্ত হলে তা পাঠানো হবে বিমানবন্দর ও উড়ান সংস্থার কাছে। টিকিট কাটার সময় যাত্রীদেরও সেই নিয়মাবলি পড়তে হবে। নিয়মাবলি চূড়ান্ত হলেই শুরু হবে টিকিট বিক্রি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy