—ফাইল চিত্র।
পরিযায়ী শ্রমিকদের বাসে ফেরানো নিয়ে ফের প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা ও যোগী আদিত্যনাথ সরকারের চাপানউতোর শুরু হয়ে গেল। দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের সীমানায় আটকে থাকা শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে এক হাজারটি বাস দিতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু কাল বেশি রাতে যোগী সরকার প্রিয়ঙ্কার দফতরকে জানিয়েছে, খালি বাস লখনউয়ে পাঠিয়ে দিতে হবে। এর পরেই যোগীর বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ এনেছে কংগ্রেস।
সোমবার মাঝরাতে প্রিয়ঙ্কার দফতরকে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে লখনউয়ের জেলা শাসকের কাছে বাসগুলি সম্পর্কে তথ্য হাজির করাতে হবে এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট দিতে হবে। সেই তথ্য দিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু একই সঙ্গে প্রিয়ঙ্কার দফতর থেকে যোগী সরকারকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘হাজার হাজার শ্রমিক যখন রাস্তায় হাঁটছেন এবং উত্তরপ্রদেশের সীমানায় নাম নথিভুক্ত কেন্দ্রগুলির সামনে দাঁড়িয়ে, তখন লখনউয়ে এক হাজারটি ফাঁকা বাস পাঠানো শুধু সময় ও অর্থের অপচয়ই নয়, অমানবিকও বটে। এতে গরিব-বিরোধী মনোভাব ফুটে উঠছে।’’
পরে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকেরা দেশের মেরুদণ্ড। তাঁদের রক্ত, ঘাম দেশের চালিকাশক্তি। এই পরিস্থিতিতে ওঁদের বাড়ি ফেরানোটা সবার দায়িত্ব।’’ প্রিয়ঙ্কার মন্তব্য, ‘‘বাসের গায়ে যদি বিজেপির স্টিকার কিংবা পতাকা লাগাতে চান, আপত্তি নেই। কিন্তু বাসগুলি চলতে দিন।’’
উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা কংগ্রেসের বাসগুলির মান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, কংগ্রেস যে ১০৪৯টি বাসের তালিকা দিয়েছে, তার মধ্যে ৪৬০টির কাগজপত্রে গোলমাল। প্রিয়ঙ্কার ব্যক্তিগত সচিব সন্দীপ সিংহ অভিযোগ করেছেন, আগরার কাছে বাসগুলি থামিয়েছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অজয়কুমার লাল্লুর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে পুলিশ।
রায়বরেলীর বিদ্রোহী বিধায়ক অদিতি সিংহকে আজ মহিলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সাসপেন্ড করেছে কংগ্রেস। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে প্রিয়ঙ্কা রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন অদিতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy