করোনার নতুন প্রজাতি নিয়ে সারা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। উদ্বেগ ছড়াচ্ছে ভারতেও। কারণ বিশেষজ্ঞদের দাবি, নতুন এই প্রজাতি আগেরটার তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক এবং শিশুরাও সংক্রমিত হচ্ছে। ফলে উদ্বেগটা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে।
এই নতুন প্রজাতি কতটা বিপজ্জনক? এ প্রসঙ্গে এমস ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ভারতে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। সুস্থতার হার বাড়ছে। মৃত্যুর হারও কমছে। সুতরাং এই পরিস্থিতিতে নতুন প্রজাতির সংক্রমণ চিন্তার কারণই বটে। তবে বিষয়টি নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন গুলেরিয়া।
তিনি আরও জানান, নতুন এই প্রজাতির চরিত্রটা আগে ভাল করে বুঝতে হবে। কারণ এই ভাইরাসটির বহু বার মিউটেনশন হয়েছে। মাসে গড়ে অন্তত ২ বার করে মিউটেশন হয়েছে ভাইরাসটির। এবং অনবরত মিউটেশন চলছে। তবে উপসর্গ বলতে তেমন আলাদা কিছু নেই। চিকিৎসা পদ্ধতিও মোটের উপর একই।
নতুন এই প্রজাতি আসার পরই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাজারে যে টিকা আসছে সেগুলো কি এই প্রজাতিকে রুখতে সক্ষম? এ প্রসঙ্গে গুলেরিয়ার দাবি, এই টিকাগুলো কার্যকরী হওয়া উচিত এ ক্ষেত্রেও।
তবে সঠিক ভাবে কোভিড বিধি মেনে চললে যে নতুন প্রজাতিই আসুক না কেন, মানুষ সুরক্ষিত থাকবে বলেই মত গুলেরিয়ার।