Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

কোয়রান্টিনে ভয়! বিমানবন্দর থেকে চম্পট দিলেন বৃদ্ধ, মেয়ের বাড়িতে ধরল পুলিশ

কোয়রান্টিনে থাকার মেয়াদ শেষ হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২০ ১৪:৪৯
Share: Save:

কোয়রান্টিন থেকে বাঁচতে বিমানবন্দর থেকে চম্পট বিদেশফেরত এক বৃদ্ধের। শেষ মেশ মেয়ের বাড়িতে খোঁজ মিলল তাঁর। সেখান থেকে ১৪ দিনের কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। কোয়রান্টিনের মেয়াদ শেষ হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

করোনা সঙ্কটে বিদেশবিভুঁইয়ে আটকে পড়া নাগরিকদের দেশে ফেরাতে ‘বন্দে ভারত মিশন’ চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার আওতায় বিমান ও জাহাজ পাঠিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফিরেয়ে আনা হচ্ছে। দেশে ফিরিয়ে এনে প্রথমে সাত দিন সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টার এবং পরে বাড়িতে কোয়রান্টিনে রাখা হচ্ছে সকলকে।

সেই মতো শনিবার সন্ধ্যায় কাজাখস্তান থেকে ভারতীয়দের নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে নামে একটি বিমান। মেডিক্যাল স্ক্রিনিংয়ের পর সেখান থেকে সরাসরি সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টারে পাঠানোর কথা ছিল সমস্ত যাত্রীকে।

আরও পড়ুন: তিব্বত হতে রাজি নই! কেন্দ্রশাসিত হওয়ার ‘অপমান’ সয়েও বলছে লাদাখ​

কিন্তু টার্মিনাল-৩-র স্ক্রিনিং হলের সামনে নামের তালিকা মেলাতে গিয়ে দেখা যায, ৭২ বছরের ওই বৃদ্ধ নিখোঁজ। তাতেই হুলস্থুল পড়ে যায় বিমানবন্দরে। কোথাও তাঁর খোঁজ না মেলায় খবর দেওয়া হয় পুলিশে। বিমানবন্দর ও আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু হয়।

তাতেই রবিবার গাজিয়াবাদে মেয়ের বাড়ি থেকে ওই বৃদ্ধের খোঁজ মেলে বলে। দিল্লি বিমানবন্দরের ডেপুটি কমিশনার রাজীব রঞ্জন জানান, আদতে দিলশাদ গার্ডেনের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ। শনিবার সেখানে তাঁর বাড়িতেও যায় পুলিশের একটি দল। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। তার পরই ফোনের টাওয়ার ধরে গাজিয়াবাদের ইন্দিরাপুরমে মেয়ের বাড়িতে খোঁজ মেলে তাঁর।

আরও পড়ুন: করাচিতে পাক স্টক এক্সচেঞ্জে গ্রেনেড হামলা, ৪ জঙ্গি-সহ হত ১০​

ওই বৃদ্ধ সংক্রমিত কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। তাই পিপিই পরে তাঁকে গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করে আনে পুলিশের একটি দল। রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লি বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং হয় তাঁর। পুলিশের ধারণা, কোয়রান্টিন থেকে বাঁচতে ইচ্ছাকৃত ভাবেই বিমানবন্দর থেকে চম্পট দেন ওই বৃদ্ধ। কিন্তু ওই বৃদ্ধ জানান, স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক, তা তিনি জানতেন না।

এই মুহূর্তে সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টারে রয়েছেন ওই বৃদ্ধ। তাঁর বিরুদ্ধে ১৮৮ (সরকারি নির্দেশ অমান্য), ২৬৯ (সংক্রমণ নিয়ে গাফিলতি)এবং ২৭০ (সংক্রামক রোগ ছড়ানো) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। কোয়রান্টিনে থাকার মেয়াদ শেষ হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE