Advertisement
E-Paper

দৈনিক সংক্রমণ কমে ২৭ হাজার, দেশে মোট সক্রিয় রোগী সাড়ে ৩ লক্ষ

করোনাভাইরাস এখনও অবধি ভারতে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩৫৫ জনের প্রাণ কেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মারা গিয়েছেন ৩৩৬ জন।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ ১০:৫৬
দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ গত ৩ দিন ধরে ২৯-৩০ হাজারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিল। সোমবার তা কমে হয়েছে ২৭ হাজার। পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুও রয়েছে ৪০০-র কম। গত ২ দিন সংক্রমণের হার ৩ শতাংশের নীচে ছিল। কিন্তু সোমবার তা ফের ৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে। চুম্বকে এটাই দেশের করোনা-চিত্র।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৭১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত ৯৮ লক্ষ ৮৪ হাজার ১০০ জন। এই সংখ্যক আক্রান্ত নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান ভারতের। প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকার মোট আক্রান্ত দেড় কোটি পেরিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখনও অবধি সেখানে ১ কোটি ৬২ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১ লক্ষ ৯৪ হাজার জন। তুলনায় তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে দৈনিক সংক্রমণ মাস খানেক ধরে অনেকটাই কম। লাতিন আমেরিকার ওই দেশে এখনও পর্যন্ত ৬৯ লক্ষ ১ হাজার জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৭১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত ৯৮ লক্ষ ৮৪ হাজার ১০০ জন। এই সংখ্যক আক্রান্ত নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান ভারতের। প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকার মোট আক্রান্ত দেড় কোটি পেরিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখনও অবধি সেখানে ১ কোটি ৬২ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১ লক্ষ ৯৪ হাজার জন। তুলনায় তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে দৈনিক সংক্রমণ মাস খানেক ধরে অনেকটাই কম। লাতিন আমেরিকার ওই দেশে এখনও পর্যন্ত ৬৯ লক্ষ ১ হাজার জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

করোনাভাইরাস এখনও অবধি ভারতে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩৫৫ জনের প্রাণ কেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মারা গিয়েছেন ৩৩৬ জন। দেশের মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রে। সেখানে প্রাণ গিয়েছে ৪৮ হাজার ২০৯ জনের। দেশের মৃত্যু তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা কর্নাটকে এবং তামিলনাড়ুতে তা প্রায় ১২ হাজারের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে দিল্লি (১০,০১৪), পশ্চিমবঙ্গ (৯,০৫৭), উত্তরপ্রদেশ (৮,০৭২) এবং অন্ধ্রপ্রদেশ (৭,০৫৭)। পঞ্জাব, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং রাজস্থানেও মোট মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।

করোনাভাইরাস এখনও অবধি ভারতে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩৫৫ জনের প্রাণ কেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মারা গিয়েছেন ৩৩৬ জন। দেশের মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রে। সেখানে প্রাণ গিয়েছে ৪৮ হাজার ২০৯ জনের। দেশের মৃত্যু তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা কর্নাটকে এবং তামিলনাড়ুতে তা প্রায় ১২ হাজারের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে দিল্লি (১০,০১৪), পশ্চিমবঙ্গ (৯,০৫৭), উত্তরপ্রদেশ (৮,০৭২) এবং অন্ধ্রপ্রদেশ (৭,০৫৭)। পঞ্জাব, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং রাজস্থানেও মোট মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

আক্রান্ত এবং মৃত্যু বৃদ্ধির মধ্যেই স্বস্তিদায়ক দেশের সুস্থতার হার। ভারতে কোভিড আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার সংখ্যা শুরু থেকেই আমেরিকা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের থেকে বেশি। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৯৩ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৫৯ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশের মোট আক্রান্তের প্রায় ৯৫ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৩০ হাজার ৬৯৫ জন। নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থ বেশি হওয়ায় অক্টোবরের শুরু থেকেই দেশে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় তা আরও ৩ হাজার ৯৬০ কমেছে। কমতে কমতে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এখন ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৫৮৬ জন।

প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৩.১৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ লক্ষ ৫৫ হাজার ১৫৭ জনের। যা তার আগের দিনের তুলনায় প্রায় দেড় লক্ষ কম।

প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৩.১৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ লক্ষ ৫৫ হাজার ১৫৭ জনের। যা তার আগের দিনের তুলনায় প্রায় দেড় লক্ষ কম।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই দৈনিক সংক্রমণ গত ২ মাসে কমেছে। নভেম্বরের শুরু থেকে দিল্লিতে লাগামছাড়া ভাবে বাড়ছিল করোনা সংক্রমণ। গত কয়েক দিনে তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজারের কম। মহারাষ্ট্রে তা ৪ হাজারের কম হলেও কেরলে দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে ৪ হাজারের বেশি। অন্য দিকে রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাতের মতো রাজ্যগুলিতে শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুব ধীরে হলেও ধারাবাহিক ভাবে বাড়ছে আক্রান্ত।

পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৫৮০ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৭৯৫ জন। যদিও তার মধ্যে ৪ লক্ষ ৯০ হাজার ১৬৫ জন রোগী সুস্থও হয়েছেন। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। এ নিয়ে রাজ্যে মোট মৃত্যু হল ৯ হাজার ৫৭ জনের।

পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৫৮০ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৭৯৫ জন। যদিও তার মধ্যে ৪ লক্ষ ৯০ হাজার ১৬৫ জন রোগী সুস্থও হয়েছেন। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। এ নিয়ে রাজ্যে মোট মৃত্যু হল ৯ হাজার ৫৭ জনের।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

Coronavirus COVID-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy