দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকেই বাড়তে শুরু করেছে দেশে মোট সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা। এক সময় যা নেমেছিল ১ লক্ষ ৪০ হাজারের নীচে। বাড়তে বাড়তে তা আবার বুধবার ১ লক্ষ ৭০ হাজার ছাড়াল। মঙ্গলবার ১২ হাজারে নামলেও বুধবার দেশের দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে হল প্রায় ১৫ হাজার।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে এখনও অবধি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫১৬ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৪ হাজার ৯৮৯ জন। এর মধ্যে ৭ হাজার ৮৬৩ জনই মহারাষ্ট্রের। কেরলে সংখ্যাটা প্রায় ৩ হাজার। পঞ্জাবে তা ৭২৯। গত কয়েক দিনে পঞ্জাবে বেড়েই চলেছে দৈনিক সংক্রমণ। একই ধারা অব্যাহত গুজরাত, তামিলনাড়ুতেও।
হরিয়ানাতেও গত কয়েক দিনে বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। সেখানকার কার্নালে একই স্কুলের ৫৪ জন ছাত্রের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এর পরই ওই স্কুলের আবাসনকে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করে তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে মঙ্গলবার, বুধবার দু’দিনই দেশের দৈনিক মৃত্যু ১০০-র নীচে রয়েছে। মুম্বইয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। গত ১০ মাস পর একদিনে এত কম সংখ্যক লোকের মৃত্যু হল। তবে দেশে মোট মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে মহারাষ্ট্র (৫২,২৩৮)। এর মধ্যে ১১ হাজার ৪৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে মুম্বইয়ে। কর্নাটক, তামিলনাড়ুতে মোট মৃত্যু সাড়ে ১২ হাজারের আশপাশে। দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গে ১০ হাজারের বেশি। কোভিডের জেরে দেশে মৃত্যুহার ১.৪১ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা চিন্তা বাড়ালেও আশার আলো দেখাচ্ছে টিকাকরণ। সোমবার থেকে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণও শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথম সারির যোদ্ধা, প্রবীণ ব্যক্তি সব মিলিয়ে দেশে মোট ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ২০ হাজার ৭৪৯ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাকরণ হয়েছে ৭ লক্ষ ৬৬ হাজার ৬১৩ জনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy