Advertisement
E-Paper

ত্রাতাই নেই! বিশ্বাস হচ্ছে না দম্পতির

বেলঘরিয়া নন্দননগরের বাসিন্দা শরাফ পরিবারের কাঠের ব্যবসা। ৩০ জনের যৌথ পরিবার। মণীশের খুড়তুতো বোন প্রীতি রবিবার জানান, মণীশ বাবা, মা, স্ত্রী, দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে ২৮ মে কাশ্মীর যান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৯ ০৩:১৬
রউফ আহমেদ দার

রউফ আহমেদ দার

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার আনন্দ ম্লান হয়ে গিয়েছে। বেলঘরিয়ার মণীশ শরাফ ও শ্বেতা শরাফ এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, তাঁদের প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়া যুবকটি নিজেই আর বেঁচে নেই। কাশ্মীর থেকে ফোনে আত্মীয়স্বজনকে এই আক্ষেপের কথাই জানিয়েছেন ওই দম্পতি।

বেলঘরিয়া নন্দননগরের বাসিন্দা শরাফ পরিবারের কাঠের ব্যবসা। ৩০ জনের যৌথ পরিবার। মণীশের খুড়তুতো বোন প্রীতি রবিবার জানান, মণীশ বাবা, মা, স্ত্রী, দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে ২৮ মে কাশ্মীর যান। বৈষ্ণোদেবী দর্শন সেরে পহেলগামে পৌঁছন। বাবা, মা ও দুই সন্তানকে হোটেলে রেখে শুক্রবার লিডার নদীতে র‌্যাফটিংয়ে গিয়েছিলেন ওই দম্পতি। প্রস্তুতির সময় ঝোড়ো হাওয়ায় নৌকা উল্টে নদীতে পড়ে যান তাঁরা। একই অবস্থা হয় তিন স্থানীয় বাসিন্দার। মণীশ-শ্বেতাদের উদ্ধার করতে ঝাঁপ দেন পেশাদার গাইড রউফ আহমেদ দার। পর্যটকদের বাঁচালেও তলিয়ে যান তিনি। শনিবার তাঁর দেহ মেলে।

প্রীতি জানান, মণীশেরা প্রথমে এই বিপদের কথা তাঁদের জানাননি। রবিবার সংবাদপত্রে খবর দেখে তাঁরা মণীশদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখনই গোটা বিষয়টি জানতে পারেন। ‘‘উনি দেবদূত হয়ে দাদা-বৌদিকে বাঁচিয়েছেন,’’ বলছেন প্রীতি। কাশ্মীর পুলিশ সূত্রের দাবি, মণীশেরা এ দিন ভূস্বর্গ ছেড়েছেন। প্রীতি জানান, তাঁর দাদা-বৌদিরা এখনই ফিরবেন না। আরও কয়েক জায়গায় ঘুরবেন।

Kashmiri Guide Belgharia Kashmir
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy