Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
COVID-19

Covid Orphan: মাথায় ঋণের বোঝা, করোনায় বাবা-মা হারানো বনিশার পাশে দাঁড়াতে আশ্বাস সারা দেশ থেকে

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বনিশাকে আর কোনও নোটিস পাঠানো হবে না বলেও জানিয়েছেন এলআইসি কর্তৃপক্ষ।

ভাইয়ের সঙ্গে বনিশা।

ভাইয়ের সঙ্গে বনিশা। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
ভোপাল শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২২ ১৬:০৭
Share: Save:

কোভিড আক্রান্ত বাবা-মাকে হারানোর পরেও দশম শ্রেণিতে বোর্ডের পরীক্ষায় প্রথম হওয়া বনিশা পাঠককে ধরানো হয়েছিল ২৯ লক্ষ টাকা শোধ করার নোটিস। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই বনিশার পাশে এসে দাঁড়ানোর আশ্বাস মধ্যপ্রদেশ সরকার থেকে শুরু করে একাধিক বেসরকারি সংস্থা এবং ব্যক্তির।

বাবা-মাকে হারিয়ে মানসিক দৃঢ়তা এবং নিষ্ঠার জোরে দশম শ্রেণিতে বোর্ডের পরীক্ষায় বনিশা ৯৯.৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যে সেরা হয়। তবে এত ভাল রেজাল্ট করেও স্বস্তি পায়নি ১৭ বছরের বনিশা। বনিশার বাবা এলআইসি এজেন্ট ছিলেন। ঘর তৈরির জন্য তিনি এলআইসি থেকেই গৃহঋণ নেন। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর এই ঋণ শোধ করার সামর্থ বনিশার ছিল না। সম্প্রতি সেই ঋণ মেটানোর জন্য এলআইসি-র তরফ থেকে নোটিস পাঠানো হয় বনিশাকে। বনিশা জানিয়েছিল, তার পক্ষে এখন এই ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়। তবে এর পরও তাকে একাধিক নোটিস পাঠানো হয়।

তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই বনিশার সাহায্যে এগিয়ে এল সরকার এবং একাধিক বেসরকারি সংস্থা। বহু মানুষও বনিশার সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছেন। অনেকে ঋণ শোধের টাকা দেওয়ার পাশাপাশি বনিশা এবং তার ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ জোগানোর কথাও জানিয়েছেন।

এমনকি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও বিষয়টি নজরে রেখেছেন বলে সোমবার জানিয়েছেন।

তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বনিশাকে আর কোনও নোটিস পাঠানো হবে না বলেও জানিয়েছেন এলআইসি কর্তৃপক্ষ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE