Advertisement
E-Paper

অক্সিজেনের আকাল মহারাষ্ট্রে, ভেন্টিলেশনে থাকা প্রবীণাকে হাসপাতাল ছাড়তে বলা হল

গোটা নাশিক শহরেই কয়েক দিন ধরে অক্সিজেনের আকাল।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২১ ১৭:৫৮
হাসপাতালে কোভিড রোগীর চিকিৎসা। -ফাইল ছবি।

হাসপাতালে কোভিড রোগীর চিকিৎসা। -ফাইল ছবি।

ভেন্টিলেশনে থাকা এক প্রবীণ মহিলা কোভিড রোগীর পরিবারকে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় জানিয়ে দেওয়া হল, হাসপাতালে আর অক্সিজেন মজুত নেই। তাই রোগীকে বাঁচাতে হলে অন্য হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে দ্রুত। অক্সিজেনের ভাণ্ডার যে শুধু ওই হাসপাতালেই শেষ হয়েছে তা-ই নয়; গোটা নাশিক শহরেই কয়েক দিন ধরে অক্সিজেনের আকাল।

শুধু নাশিক শহর বললেও সঠিক বলা হবে না। দেশে করোনার সাম্প্রতিক ঢেউয়ের ভরকেন্দ্র মহারাষ্ট্রের প্রায় সর্বত্রই এই অবস্থা। যাকে চরম দুরাবস্থাও বলা যায়। যে রাজ্যে সংক্রমণের সংখ্যা হালে ফের লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সেখানে মূল দু’টি সমস্যার একটি কোভিড টিকার অপর্যাপ্ততা। অন্যটি অক্সিজেনের আকাল, যা ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের জন্য লাগে সবচেয়ে বেশি। গত কয়েক দিনে এই দু’টি সমস্যাই তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে।

অর্চনা ভ্যাবাহারে জানিয়েছেন, তাঁর ৭৩ বছর বয়সি কোভিডে আক্রান্ত মা ভর্তি ছিলেন নাশিকের একটি হাসপাতালে। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল কয়েক দিন ধরে। হঠাৎই বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, তাঁর মাকে অন্য হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে দ্রুত। কারণ, হাসপাতালে অক্সিজেন আর তেমন নেই বললেই চলে। এ কথা শুনে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ছুটোছুটি শুরু করেন এ-হাসপাতাল থেকে ও-হাসপাতালে। শেষমেশ তাঁর মাকে অন্য একটি হাসপাতালের এমন একটি ওয়ার্ডে ভর্তি করাতে হয় যা কোভিড রোগীদের জন্য সংরক্ষিত নয়। অর্চনার কথায়, ‘‘ওঁরা বলেছিলেন সন্ধ্যার পর আর অক্সিজেন থাকবে না হাসপাতালে।’’

গোটা মহারাষ্ট্রেরই যা অবস্থা, তাতে অক্সিজেনের আকাল প্রায় সব হাসপাতালেই। তাই অন্য হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে থাকা কোনও কোভিড বা অন্য কোনও রোগীকে চট করে নিতে রাজি হচ্ছে না কোনও হাসপাতাল।

সুবিচার হাসপাতালের চিকিৎসক শ্যাম পাটিল বলেন, ‘‘আমি এই হাসপাতালে ৬টি কোভিড রোগী দেখছিলাম। অক্সিজেনের আকাল হওয়ায় এঁদের মধ্যে মাত্র ১ জনকে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করাতে পেরেছি।’’

maharashtra COVID19 covid patients
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy