করোনা সংক্রমণের দাপট অব্যাহত থাকায় জনবহুল স্থানে, বিশেষত স্কুল-কলেজ, সরকারি দফতরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে দিল নয়ডা প্রশাসন। সংক্রমণ যে গতিতে এগোচ্ছে তাতে আগামী সপ্তাহ থেকে দিল্লিতেও মাস্ক বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সরকার।
কেবল নয়ডা বা দিল্লিতেই নয়, সংক্রমণ বাড়ছে গোটা দেশেই। গত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১,১০৯ জন। আক্রান্তের হার ৫.০১ শতাংশ। গত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণের ফলে মারা গিয়েছেন ২৯ জন। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কেরলে (৯ জন)।
বর্তমান আবহে দেশের অধিকাংশ মানুষ করোনা টিকার দু’টি ডোজ় নিয়ে ফেলেছেন। বুস্টার ডোজ়ও নিয়ে রেখেছেন দেশবাসীর বড় অংশ। এই পরিস্থিতিতে প্রবীণ ও যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে ক্রনিক রোগে আক্রান্ত, তাঁরা ছাড়া নতুন ভাবে দেশবাসীকে আর কোনও প্রতিষেধকের ডোজ় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পক্ষপাতী নন খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। ঘটনাচক্রে তিনি নিজেও বুস্টার ডোজ় নেননি। এই আবহে তাই সংক্রমণকে রুখতে মাস্ক পরার মতো বুনিয়াদি নিয়ম পালনের পক্ষপাতী কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় এক স্বাস্থ্য কর্তার মতে, বর্তমানে সংক্রমণ যে ভাবে ছড়াচ্ছে তাতে যাঁদের কোনও ধরনের জ্বর, সর্দি কাশির উপসর্গ রয়েছে তাঁদের ঘরে বসে থাকা উচিত। আর যাঁরা একান্তই বাইরে বেরোচ্ছেন তাঁদের উচিত মাস্ক পরে বার হওয়া। এমসের চিকিৎসক সঞ্জয় রাইয়ের মতে, ওমিক্রনের উপপ্রজাতি এক্সবিবি.১.১৬-র সংক্রমণের হার খুব প্রবল। অনায়াসে তা এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে যায়। যা রোখার প্রশ্নে অন্যতম হাতিয়ার হল মাস্ক পরে থাকা। চিকিৎসকদের মতে, প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কী করতে পারে তা দেখেছে আমজনতা। তাই মানুষের উচিত সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে মাস্ক পরে থাকা। যাতে সংক্রমণের শৃঙ্খলকে ভাঙা সম্ভব হয়। একমাত্র মাস্ক পরে থাকা ও কোভিড বিধি পালন সংক্রমণকে ছড়িয়ে পড়া থেকে আটকাতে সক্ষম।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)