প্রতীকী ছবি।
সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার ছ’মাস পরেও বিজেপি ও কংগ্রেসের মতো বড় দল নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের আয়ের খতিয়ান দেয়নি। তৃণমূল, সিপিএম, বহুজন সমাজ পার্টির মতো জাতীয় দল সময়ের মধ্যেই তা করেছে। বিজেপি-কংগ্রেসের মতো বড় দলের হিসেব না মেলায় খতিয়ান পেশ করা বাকি দলগুলির মধ্যে সব থেকে ধনী দল এখন সিপিএম। ২০১৫-’১৬-তে বাকিদের মোট আয়ের চেয়েও বেশি আয় করেছে একা সিপিএম, ১০৭ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা। যদিও আগের বছরের তুলনায় এটি কম।
হিসেবে বলছে, আগের আর্থিক বছরের তুলনায় সেই বছরে সব চেয়ে বেশি আয় বেড়েছে তৃণমূলের। প্রায় ১৮০%। ২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষে তাদের আয় ছিল ১২ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। পরের বছর তা এক লাফে বেড়ে হয়েছে ৩৪ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা। এর ৪০% তারা খরচই করেনি। আয়ের নিরিখে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি দ্বিতীয় স্থানে, ৪৭ কোটি টাকা।
আপাতত যে ক’টি দল আয়ের হিসেব দিয়েছে, তাতে মোট আয় ২০০ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা। এর ৩০%-ই এসেছে অজ্ঞাত উৎস থেকে। এ বারের বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ঘোষণা করেছেন, রাজনৈতিক দলগুলি নগদে ২ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না। এই হিসেব সেই ব্যবস্থা চালু হওয়ার আগের।
আরও পড়ুন: ‘গুড বাই’ বলে সাগরের পথেই স্কুলের সৌমিত্র
আপাতত সব থেকে ধনী দলের তকমা পেয়ে সিপিএমের বক্তব্য, তাদের আয়ের পরিমাণ সব সময়েই বেশি থাকে। এটি শুধু চাঁদার ভিত্তিতে নয়, গোটা দেশে তাদের যে সম্পত্তি রয়েছে তার হিসেবও এতে যুক্ত থাকে।
তৃণমূলের আয় এতটা বাড়ার কারণ কী? দলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের বক্তব্য, ‘‘সব হিসেব অডিট করেই দেওয়া হয়েছে। আসল প্রশ্ন, বিজেপি কেন এত দিনে হিসেব দিতে পারল না?’’ ২০১৫-’১৬ আর্থিক বছরের আয় অডিট করে নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশ করার কথা ছিল গত বছর ৩১ অক্টোবরের মধ্যে। বিজেপি-কংগ্রেস বলছে, তাদের অডিট পুরো হলেই কমিশনে জমা দেবে। একটু-আধটু দেরি সব সময়েই হয়ে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy