উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন আখলাকের পরিবার। ছবি: পিটিআই।
যাকে ঘিরে করে এত কাণ্ড, কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে সেই ‘গোমাংস’ শব্দটাই রাখল না উত্তরপ্রদেশ সরকার!
গুজব ছড়িয়েছিল বাড়িতে গোমাংস রাখা আছে। শুধু তাই নয়, পরিবারের সকলেই সেই মাংস খেয়েছিলেন বলেও মহল্লার এক মন্দির থেকে মাইকে ঘোষণা করা হয়। আর তার পরই ৫০ বছরের মহম্মদ আখলাকের বাড়িতে চড়াও হয় জনতা। তাঁকে পাথর দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। ঘটনায় আহত হন আখলাকের ছেলে দালিশ। তাঁর মেয়ে সাজিদাকেও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
গত সোমবার রাতের এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। ভবিষ্যতে যাতে দাদরির ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর না হয়, সে ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে রীতিমতো সতর্ক করে দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ওই ঘটনার জেরে যাতে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট না হয়, মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সরকারকে তার উপরেও কড়া নজর রাখতে বলা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে দাদরির ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে।
ঘটনার এক সপ্তাহ পর গত কাল রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে রিপোর্ট পাঠায় অখিলেশ-সরকার। সেই রিপোর্টে শুধুমাত্র ‘নিষিদ্ধ পশুমাংস’-র উল্লেখ আছে। গোমাংস শব্দটা ব্যবহার করা হয়নি। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার উদ্দেশ্য কী ছিল, তা নিয়েও রিপোর্টে কোনও শব্দ খরচ করেনি তারা। তবে, ঘটনার পর কোন কোন রাজনৈতিক নেতা আখলাকের বাড়ি গিয়েছেন, কারা কথা বলেছেন ওই পরিবারের সঙ্গে, তার উল্লেখ আছে রিপোর্টে।
তবে রিপোর্ট পাওয়ার পর মন্ত্রক কড়া অবস্থান নিয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং সংখ্যালঘু ভাবাবেগকে কোনও রকম ভাবে আঘাত না করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, ফের এক বার সতর্ক করা হয়েছে অখিলেশ-সরকারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy