বিচারপতির গাড়ির চালকের মেয়ের স্বপ্ন সফল। ছবি: সংগৃহীত
প্রধান বিচারপতির গাড়ি চালান বাবা, সেই মেয়েই নিজে বসতে চলেছেন বিচারকের আসনে। রাজ্যের জুডিশিয়াল সার্ভিসের পরীক্ষায় নজরকাড়া ফল করেছেন তিনি। ‘কালো কোটের স্বপ্ন’ সফল হতে চলেছে কার্তিকা গহলৌতের।
গত ৩১ বছর ধরে রাজস্থান হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির গাড়ি চালাচ্ছেন কার্তিকার বাবা রাজেন্দ্র গহলৌত। ছোটবেলা থেকেই তাই বিচারপতিদের কালো কোটের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন কার্তিকা। ২৩ বছরের তরুণী সম্প্রতি রাজস্থানের জুডিশিয়াল সার্ভিসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। রাজ্যের তাঁর র্যাঙ্ক ৬৬। পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর কার্তিকা বলেছেন, ‘‘বাবার পেশার কারণে আমি খুব ছোট থেকে ওই কালো কোট এবং তাকে ঘিরে গড়ে ওঠা পরিবেশের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলাম। বাচ্চারা প্রতি মুহূর্তেই ভবিষ্যতের লক্ষ্য বদল করে ফেলে, কিন্তু আমি বরাবর একটাই স্বপ্ন দেখেছি, তা পূরণ করার চেষ্টা করেছি।’’
কার্তিকারা চার ভাই-বোন। পরিবারের অন্যান্যরাও আইনি পেশার সঙ্গেই যুক্ত হতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। যোধপুরের সেন্ট অস্টিন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন কার্তিকা। আইন পাশ করেছেন যোধপুরের জয় নারায়ণ ব্যাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন তিনি। ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। এই সাফল্যের কৃতিত্ব কার্তিকা দিয়েছেন তাঁর পরিবারকেও। তাঁরা পাশে না থাকলে তিনি স্বপ্ন ছুঁতে পারতেন না বলে জানিয়েছেন।
আইনি পেশায় মেয়েদের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কার্তিকা বলেন, ‘‘আমি শুনেছি, অনেক বাবা-মা তাঁদের মেয়েকে এই পেশায় পাঠাতে ভয় পান। তাঁরা ভাবেন, আইনি পেশায় এলে মেয়ের বিয়ে হবে না। কিন্তু, মেয়েদের স্বাধীনতা ও ক্ষমতার জন্য এই পেশা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। শুধু মেয়ে নয়, সকলকেই দেশের আইন সম্পর্কে আরও সচেতন হতে হবে। আমার মতে, স্কুল স্তর থেকে পড়ুয়াদের আইনের পাঠ দেওয়া প্রয়োজন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy